নিজস্ব প্রতিবেদক: গর্ডন গ্রিনিজ কাল রাতেই রাজধানী ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।
রোববার রাত সাড়ে দশটায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে করে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন গর্ডন গ্রিনিজ। আগেই জানা তার সফর সঙ্গী হচ্ছেন বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক। দুজনই একসাথে একই বিমানে চেপে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা এসেছেন।
বিমান বন্দর থেকে সরাসরি সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে চলে যান বাংলাদেশের সাবেক এ কোচ। এখনো ওই পাঁচ তারকা হোটেলেই অবস্থান করছেন। আজ রাতে সোনারগাও হোটেলে গর্ডন গ্রিনিজের সম্মানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক নৈশভোজের আয়োজন করেছে।
বিসিবি কোচ খোঁজায় ব্যস্ত। ঠিক এমন সময় হঠাৎ গর্ডন গ্রিনিজের ঢাকা আসা। খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট পাড়ায় নানা গুঞ্জন, জল্পনা-কল্পনা। কি জানি, তবে কি আবার কোচ হতে যাচ্ছেন গর্ডন? তা নিশ্চিত করতেই বিসিবি শীর্ষ কর্তাদের সাথে দেখা ও কথা বলতে আসা? এমন কৌতুহলি প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
তবে ভিতরের খবর, বিষয়টি তেমন নয়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও তাগিদে ঢাকা এসেছেন গর্ডন। তার এবারের ঢাকা আসার ইচ্ছেটা শুধুই তার নিজের। যাতে মধ্যস্থতা করছেন বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক।
এর আগে গর্ডন গ্রিনিজকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করার পর অবশ্য ২০০০ সালে অভিষেক টেস্টের সময় বাংলাদেশে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৪-৫ বছর পর আরও একবার ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি খেলতে যাবার অল্প ক'দিন আগে কোচ হয়ে এসেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম সেরা ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ। তারপরের কাহিনী সবার জানা। এ ক্যারিবীয় গ্রেটের পরিচর্যা, তত্ত্বাবধান ও বুদ্ধি-পরামর্শে দু’বছরের মধ্যেই বদলে যায় বাংলাদেশ।
১৯৯৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে গিয়ে গর্ডন গ্রিনিজের কোচিংয়েই পাকিস্তানের প্রচন্ড শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন আমিনুল, সুজন, আকরাম, নান্নু, দুর্জয়, পাইলট, অপি ও রফিকরা। কিন্তু ৩১ মে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে হারানোর রাতেই বিদায়ঘন্টা বেজে যায় গ্রিনিজের।
গর্ডন গ্রিনিজের বিদায়টি সুখের ছিল না। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জেতার মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা গর্ডন গ্রিনিজ পদচ্যুত হন ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময়ই। যদিও এক বছর পর ২০০০ সালে অভিষেক টেস্টে গর্ডনকে এনে পূর্বের তিক্ততা খানিকটা কাটিয়েছিলেন আশরাফুল হক। এরপর গর্ডনকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয় এবং বাংলাদেশের পাসপোর্টও প্রদান করা হয়। জানা গেছে, অতীতের তিক্ততা কাটিয়ে একটা মধুর সম্পর্ক তৈরির চিন্তা থেকেই এবার বাংলাদেশে গর্ডন গ্রিনিজ।
আপনার মতামত লিখুন :