অনলাইন ডেস্ক : দুই বছরেও কিনারা হয়নি মিতু হত্যার রহস্য। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন মামলার তদন্ত। প্রায় দুই বছরেও উদ্ঘাটন হয়নি রহস্য। এমনকি কিলিং মিশনের কথিত মাস্টারমাইন্ড কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারকেও ধরতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন ও ক্রাইম) আমেন বেগম বলেন, ‘কাউকে ফাঁসাতে কিংবা রক্ষা করতে তদন্ত করে না পুলিশ। বরং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই তদন্ত ধীরেসুস্থে করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারই সংশ্লিষ্টতা থাকবে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছুই এখন পুলিশের কাছে অজানা নয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের কারণে মামলাটি এক জায়গায় স্থির রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন মহল থেকে নির্দেশ এলে স্বল্প সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারবে পুলিশ।’
তবে মিতুর পরিবারের দাবি, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারই এ খুনের মাস্টারমাইন্ড। তাকে রক্ষা করতেই পুলিশ তদন্তের নামে মামলা এক জায়গায় স্থির রেখেছে। তোলপাড় করা এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ মিতুর পরিবারও। মিতুর মা সাহেদা মোশারফ অভিযোগ করে বলেন, ‘এ মামলার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। তারা উল্টো ঘটনার মাস্টারমাউন্ড বাবুল আকতারকে রক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট প্রদান করুক পুলিশ।’
মিতু হত্যার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তার গত ৬ মে বিচারপতি শওকত হোসেন ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :