ডেস্ক রিপোর্ট : দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' সংকোচন করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারসহ হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে দলটি।
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে এসব বিষয়ে তাদের অবহিত করা হয়।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি-না কূটনীতিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলের নেতারা জানান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার হলেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে রাজপথে কর্মসূচি পালনে বাধাসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন দলটির নেতারা।
সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য দেন। এতে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। তার অসুস্থতার বিষয়ে দলের উদ্বেগের কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও সরকার সময়ক্ষেপণ করছে।
মির্জা ফখরুলের লিখিত বক্তব্য শেষে কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন দলটির নেতারা। এক কূটনীতিক জানতে চান, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে বিএনপি কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে? জবাবে বিএনপি বলছে, চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির রায়ের দিন ধার্য রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মামলার ইতিহাসে এ ধরনের মামলায় জামিন পাওয়ার প্রতিবন্ধকতার কোনো নজির নেই। তাকে রাজনৈতিকভাবে কারাবন্দি রাখার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও জেবা খান।
কূটনীতিকদের মধ্যে কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, স্পেন, জাপান, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা শান্তনু মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন। সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :