নূর মাজিদ: অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী পিটার টার্নবুলের সরকার ৪১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন। মহাকাশ গবেষণা এবং বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে অস্ট্রেলিয়ার পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার। রোববার নতুন মহাকাশ সংস্থার প্রধান পদে সাবেক কমনওয়েলথ মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী মেগান ক্লার্কের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন এই সংস্থাটি এএসএ বা অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি নামেই পরিচিত হবে।
সংস্থাটি পরিচালনার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেবার পর মেগান ক্লার্ক বলেন, তিনি তার সংস্থার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে খুবই আশাবাদী। বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের যে বাজার রয়েছে তার একটি বড় অংশই এই প্রতিষ্ঠান দখল করে নিতে পারবে।
রোববার অস্ট্রেলিয়ান বার্তা সংস্থা এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর ফলে সংস্থাটি আগামী এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে অন্তত ২০,০০০ উঁচুদরের চাকুরি সৃষ্টি করতে পারবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই সংস্থা অস্ট্রেলিয়ানদের মহাকাশ গবেষণা চাকুরির বিষয়ে ভাবতে শেখাবে এবং এই সংস্থা তৈরি পেছনে এটি অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশটির মহাকাশ সম্পর্কিত বাণিজ্যের পরিমাণ ছিলো ৩.৯৪বিলিয়ন ডলার, যার ৮৮ শতাংশই বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।
মেগান ক্লার্কের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ মহাকাশ বাণিজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ার আয় তিনগুন বৃদ্ধি করে ১০-১২ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এবিসি অস্ট্রেলিয়া
আপনার মতামত লিখুন :