ফয়সাল মেহেদী : চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে বিভিন্ন অভিযোগে ১০ হাজার ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি)। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, জেনেশুনে ভেজাল ঔষধ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, পরিমাপ ও ওজনে কারচুপি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ ১৫টি ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজের দায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৪৪৬টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে ভোক্তা অধিকারে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫১৫টি অভিযোগ নিস্পত্তি করা হয়। এছাড়া আলোচ্য সময়ে মোট ২ হাজার ৯৫৮টি বাজার অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি।
ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং বাজার অভিযানের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানার মধ্যে ২৫ শতাংশ হিসাবে ১ হাজার ৭২৮ জন আভিযোগকারী পেয়েছেন ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা। বাকী ১০ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫০ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে সরকারি কোষাগারে।
এর আগে অর্থাৎ সর্বশেষ সমাপ্ত (২০১৬-১৭) অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৩৭টি বাজার অভিযান পরিচালনা করেছিল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ওই সময়ে ১০ হাজার ৭২৯টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকা আদায় করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৪১৬ জন অভিযোগকারীকে দেওয়া হয় ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৭৭ টাকা এবং সরকারি কোষাগারে দেওয়া হয় ৬ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৩ টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে ৬ হাজার ১৪০টি লিখিত অভিযোগ পায় ভোক্তা অধিকার এবং সবগুলোই নিস্পত্তি করা হয়।
এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫২০টি গণশুনানী করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সময়ে ১ হাজার ২৬টি মতবিনিময় সভা ও সেমিনার করেছে সংস্থাটি। এর আগের অর্থবছরে সংস্থাটি মোট ৩৫৯টি গণশুনানী এবং ১ হাজার ২৮৩টি মতবিনিময় সভা ও সেমিনার করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :