মাহাদী আহমেদ : ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়া’তে রোববার তিনটি চার্চে আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার নেপথ্যে জড়িয়ে আছে আইএস এর মতাদর্শে অনুপ্রানীত একটি পরিবার।
হামলার ঘটনার তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবারটির ৬ জন সদস্য এ আত্মঘাতী হামলার সাথে জড়িত ।
রোববারের এ গির্জা হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন ব্যক্তি। হামলার সময় তারা সবাই গির্জাগুলোতে তাদের সাপ্তাহিক প্রার্থণায় অংশ নিচ্ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশটিতে সম্প্রাতিক সময়ে জঙ্গিবাদ আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, আইএসে’র হয়ে সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি সম্প্রতি নিজ দেশে আবারও ফিরে এসেছে।
তারা ধারনা করছে, গির্জাগুলোতে আত্মঘাতী হামলা চালানো পরিবারটির সদস্যরা এমন কোন ইন্দোনেশীয় আইএস সদস্য দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা’র পুলিশের মুখপাত্র ফ্র্যান্স ব্যারাঙ্গ ম্যাঙ্গেরা বলেন, হামলা চালানোর সময় পরিবারটির কর্তা বিস্ফোরক ভর্তি একটি ‘টয়োটা অ্যাভেঞ্জা’ গাড়ি দ্রুত বেগে গির্জার গেটের ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়।
দ্বিতীয় চার্চ হামলাটি চালায় তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা। আর তৃতীয় চার্চ হামলাটি চালিয়েছে তার দুই ছেলে। তারা মোটর সাইকেলে করে হামলাটি চালায়।
আত্মঘাতী হামলায় অংশগ্রহনকারী তার দুই কন্যার বয়স হচ্ছে ৯ ও ১২ এবং দুই ছেলের বয়স হচ্ছে ১৬ ও ১৮। তারা আইএস সংশ্লীষ্ট গোষ্ঠী ‘জেমাহ্ আনশারুত দৌলাহ্’ এর সদস্য ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :