হ্যাপী আক্তার : দেশের মহাসড়কগুলোতে অবৈধ, ফিটনেসবিহীন ও আইন অমান্য করে বেড়েই চলেছে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা। যার কারনে গত ৩ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছেন। আর প্রাণ হারান ২২ হাজার মানুষ। যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, চালকদের বেপোরোয়া মনোভাবের কারণেই ঘটছে ৯০ ভাগ দুর্ঘটনা। তাই চালকদের সচেতন হবার তাগিদ তাদের।
গত ৩ এপ্রিল পরস্পরের গা-ঘেঁষে চলা দুই বাসের চাপে ডান হাত হারান রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি। এরপর ২০ এপ্রিল বনানীতে বাসচাপায় ডান পা বিচ্ছিন্ন হয় গৃহকর্মী রোজিনা আক্তারের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শেরপুরে ট্রাকের নিচে পড়ে বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয় শিশু সুমি আক্তারের। ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের চাপায় বাম পা হারান মো. রাসেল নামের এক যুবক।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব বলছে , ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ১৬ হাজার দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছেন ৪ হাজার মানুষ। আর মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে ২২ হাজার মানুষের। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার যে ভয়াবহতা এবং তার যে গভীরতা সে বিষয়টি এখনো আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম হচ্ছি না।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম মানুষ বোঝা হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ নেই।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফূল নেওয়াজ বলেছেন, যদি আইনের প্রয়োগটি হয় তাহলে চালকরা যেমন সতর্ক হয়ে যাবে শাস্তির ভয়ে। তার পাশাপাশি পথচারীরাও চলাচলে সচেতন হয়ে যাবে।
বিআরটিএ এর পরিচালক শেখ মাহাবুব ই রব্বানী বলেছেন, বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। লাইসেন্স যখন নবায়ন করতে আসে তখন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ, ফিটনেসবিহীন ও আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান আরো বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে বি আরটিএ। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :