জান্নাতুল ফেরদৌসী : অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই মন্ত্রিপরিষদে শেষ দফা রদবদল। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পূর্ববর্তী সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই মন্ত্রিসভার আকার ছোট হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবেই নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন।
বেসরকারি টেলিভিশন ‘ ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি’ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা। সে অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরে। আর ভোট ডিসেম্বরে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর প্রথম নির্বাচন হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তার আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে ছোট করা হয় মন্ত্রিসভার আকার। সংবিধান অনুযায়ী যারা শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে। এবারও সেরকম নির্বাকালীন মন্ত্রিসভার কথাই ভাবছে সরকার।
আরো পড়ুন : খুলনায় ভোটারদের মাঝে কানাঘুষা চলছে: রিজভী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর পূর্ববর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে যে সরকার দায়িত্ব পালন করছে, সেই সরকার অধীনে নির্বাচন হবে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমরা বলি ডিসেম্বরে হবে। এই সংসদের মার্চে নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, এখানে সর্বোদলীয় সরকার করার কোনো ধরনের প্রস্তাব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সে প্রস্তাব হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। স্বাধীনভাবে তারা নির্বাচন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার তার আকার ছোট করবে। নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার কোন সুযোগ নেই। সংবিধান মোতাবেক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে থেকে পরবর্তী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি
আরো পড়ুন : সরকার কেসিসির মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে : মঞ্জু
আপনার মতামত লিখুন :