নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আরও ২০ জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করার কর্মসূচি থাকছে। এ কর্মসূচিতে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। দেশ থেকে অতিদারিদ্র্য বিমোচন ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করে তাদের পরিবার নিয়ে গ্রামে থাকার জন্য ঘর তৈরি এবং আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, ভিক্ষাবৃত্তির মতো অমর্যাদাকর কাজ থেকে অতি দরিদ্র মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের জনগোষ্ঠীর আবাসন, ভরণ-পোষণ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এ কর্মসূচির আওতায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও ছাড় হয়েছে ১৫ কোটি টাকার মতো। বাকি ১০ কোটি টাকা এখনো অব্যবহৃত রয়ে গেছে। আগামী অর্থবছরে এসব অর্থ ছাড় করা হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশে মোট ভিক্ষুকের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে ২৯ হাজার ১৮৩ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বাকিদের পুনর্বাসনে আগামী বাজেটে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মহানগরের ১০ জোনে ১০ হাজার ভিক্ষুকের ওপর জরিপ করে ২ হাজার জনকে নিজ নিজ জেলায় পুনর্বাসন করা হয়। তবে ঢাকার জরিপে ময়মনসিংহ জেলায় পুনর্বাসনকৃত ভিক্ষুকরা বেশিরভাগই রিকশা, ভ্যান বিক্রি করে ঢাকায় চলে এসেছে। তবে বেশিরভাগ জেলায় পুনর্বাসনকৃত স্থানীয় ভিক্ষুকরা বিভিন্ন পেশায় স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে হলে আগে ঢাকা শহরের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সফলতা অর্জন করতে হবে। গ্রাম থেকে অনেকেই ঢাকায় এসে ভিক্ষা করছে। এদের গ্রামে পুনর্বাসন করলে তারা ঢাকায় এসে ভিক্ষাবৃত্তিতে যোগ দিচ্ছে।
ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে শহরের বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, হোটেল রেডিসন, বেইলি রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকাগুলোকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে বিমানবন্দর সড়ক থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ভিআইপি রাস্তা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :