জাহিদ হাসান : আগামীকাল রোববার থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়। এসএমএসে আবেদন করতে হবে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে।
অনলাইনে ১৫০ টাকা দিয়েই ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে। তবে এসএমএসের জন্য প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনের কাজ শুরু হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কোনো পরীক্ষা হবে না। ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অনলাইন কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর ফল ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচন করে দেওয়া হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এবার শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চয়ন না করলে নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৯ ও ২০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ২১ জুন। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ জুন এবং ফল প্রকাশ ২৫ জুন। প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনসহ (মাইগ্রেশন) অন্যান্য কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।
এবার বিভাগীয় ও জেলা সদরের কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে শতভাগ আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার কোনো আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসেবে নির্ধারিত কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। নির্ধারিত কোটা আছে ১১ শতাংশ। তবে এবার এসব কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনগুলোর আর কার্যকারিতা থাকবে না। স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। শেষ কয়েক বছরের তুলনায় এই হার কম। গত বছর পাশের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সারা দেশে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১,১০,৬২৯ জন। গত বছর সর্বোচ্চ ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক ১,০৪,৭৬১। সেই হিসাবে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
আপনার মতামত লিখুন :