আহমেদ ইসমাম: বর্তমানে হিটলারের মত কথা বলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে বলেছেন কোটা বিরোধী কোন আন্দোলনের সাথে থাকা যাবে না, এ ধরনের কথা ন্যতসিবাহিনীকে ত্রিশ শতকে বলতেন হিটলার।
তিনি বলেন, সরকার যে ভয় পেয়েছে বর্তমানের কিছু ঘটনা দেখলে তা বোঝা যায়। তা হলো গতকাল ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বদলে সিলেকশনে নেতা বানাবেন এবং যাদেরকে বানাবেন তার পরিবারের সবাইকে আওয়ামী লীগ করতে হবে কোন আত্মীয়স্বজন এদিক-ওদিক হতে পারবে না। আর একটি হচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা থাকা যাবে না। এগুলো ত্রিশের দশকে হিটলার দিয়েছিলেন। তিনি কি টিকে আছেন? হিটলার যে অন্যায় করেছিল ঠিক একইভাবে ওনারা অন্যায় করে ওনাদের বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে।
তিনি আরো বলে, তিনি(প্রধানমন্ত্রী) যে ভয় পেয়েছেন তার এ সব কথা শুনেই বুঝা যায়। কারণ ছাত্রলীগ এর সম্মেলন এ তিনি নির্বাচনের কোন ব্যবস্থা রাখেনি, সরাসরি তার কথায় কাউকে না কাউকে করা হবে। কেন নির্বাচন করে করলে কি সমস্যা?
বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখার পরামর্শ কে দিয়েছে? মূল পরামর্শদাতা ভারত ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। আমাদেরকে তাই বাইরের জিনিসটা না দেখে ভেতরটা দেখতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুন:প্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা-নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডা. শামীউল আলম সুহানের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
তিনি বলেন, গতবছর শেখ হাসিনা ভারতে গিয়েছিলেন মোদির সাথে দেখা করতে সেখানে আমলাতান্ত্রিক স্বাক্ষর করেছেন। এতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে ৭৫ লাখ টাকা। আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছেন এটা বাংলাদেশের জন্য মোটেও ঠিক হয়নি। এটা তাদের কথা, বিএনপির কথা নয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাচ্ছে। তারা চাচ্ছে সুষ্ঠু ভোট। এই সমস্যাটা আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে। তাই তারা (আওয়ামী লীগ) বিএনপিকে পেছনে ফেলে দিতে খালেদা জিয়াকে বিচারের নামে কারাগারে আটকিয়ে রেখে দিয়েছে। টাকা চুরি হয়নি কিন্তু অভিযোগ করেছে। মূল মামলাটি ছিল দুদকের ৫/২ ধারায় সেটাতে বিন্দুমাত্র প্রমাণিত হয়নি। তাই মামলাকে পাল্টিয়ে নেয়া এবং তার অপব্যবহার করা হচ্ছে আর যদি ক্ষমতার অপব্যবহারে খালেদার জেল হয় তাহলে হাসিনার কত হাজার বছর জেল হবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
দেশের বিশিষ্ট এই নাগরিক বলেন, বিচার বিভাগের বিবেক ঘুমিয়ে আছে। বিচারপতিগণ আপনারা মনে করবেন না চোখ বুজে মরিচ ঢুকালে কেউ দেখতে পাবে না। বাংলাদেশের জনগণ এত বোকা না। ভারতের পরামর্শে আপনারা যা করছেন তার প্রত্যেকটা আপনাদের ঐশী বাণী হতে লেখা হয়ে যাচ্ছে সুতরাং আপনারাও বিচারের জন্য তৈরি হোন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ বলছে আপনারা ক্ষমতায় আসলে এই যে বিনা টেন্ডারে মাল দেয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করা রামপালের বিচার করবেন। এটা আমরা পরিষ্কারভাবে জানতে চাই আজকে জনগণ আপনাদেরকে ক্ষমতায় আনতে চায় তবে এটাও জানতে চায় আপনারা ক্ষমতায় আসলে আমাদের জন্য কি করবেন, সাধারণ মানুষের কি লাভ হবে সেটাও পরিষ্কারভাবে আপনাদের বলা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :