শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৮, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৮, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের হাতে লেগুনার স্টিয়ারিং!

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধান সড়ক ও শাখা সড়কে চলাচলের সুবিধার্থে যাত্রীদের কাছে ভরসার জায়গা করে নিয়েছে হিউম্যান হলার বা লেগুনা বাহন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লেগুনার মালিকরা সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে নিজেদের মনমতো ভাড়া আদায় করছে। এ ছাড়া বেপরোয়া চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। অথচ এসব লেগুনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। প্রশ্ন উঠেছে কোন সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে লেগুনা নৈরাজ্য?

জানা গেছে, লেগুনার রেজিস্ট্রেশন দিয়েই দায় সারছে বিআরটিএ। এটিই একমাত্র গণপরিবহন, যার ভাড়া নির্ধারণে সরকার কোনো ভূমিকা পালন করে না। পরিবহন মালিকরা যখন-তখন ভাড়া নির্ধারণ করেন এবং তা মানতেও বাধ্য করছেন সাধারণ যাত্রীদের। আরও ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে এ গাড়ির চালকদের অধিকাংশের কাছেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অল্পবয়সী কিশোরের হাতে স্টিয়ারিং থাকায় ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ কারণে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা অহরহ ঘটছে।

লেগুনাচালকের হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে সম্প্রতি ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে লেগুনা সার্ভিস পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বেপরোয়াভাবে চলছে লেগুনা।

জানা গেছে, মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট-১৯৮৩ অনুযায়ী ২১ বছর বয়সী পেশাদার চালককে প্রথমে হালকা যান চালনার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। অথচ লেগুনাচালকদের ৯০ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৮-এর কোটায়। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে চার

চাকার এই গাড়িতে হেলপার হিসেবে কাজ করে শিশুরা। অনেক সময় এরাও চালকের ভূমিকায় থাকে। কর্তৃপক্ষেরও সেদিকে নজর নেই।

সাধারণত গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া, লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চলে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সকল প্রকার ধরাছোঁয়ার বাইরে লেগুনা-ম্যাকসি তথা হিউম্যানহলার সার্ভিস। বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত অথবা ট্রাফিক পুলিশ সচরাচর হিউম্যানহলারের দিকে নজর দেয় না। তাদের মনগড়া ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এর যুক্তি এসব গাড়ির ভাড়া নির্ধারণ করে না সরকার। বাস, মিনিবাস বা সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চললেও হিউম্যানহলার সবার নাকের ডগায় ভাড়া-নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আবার লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধেও শাস্তির নজির কম। ফিটনেস যাচাইয়ে তৎপরতাও নেই। এর কারণ, রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে মেলে এসব গাড়ির রুটপারমিট। এ সুযোগে মালিক-সমিতি কদিন পর-পর বৃদ্ধি করে লেগুনার ভাড়া। অথচ মোটরযান আইনের ধারা ৫২-এর উপধারা ১-এ বলা আছে ‘বাংলাদেশের সর্বত্র বা যে কোনো অঞ্চলে বা যে কোনো রুটে স্টেজ ক্যারেজের (বাস, মিনিবাস, হিউম্যানহলার) ভাড়া নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।’ দেখা যায়, আধা কিলোমিটারের জন্য আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা।

তবে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, সব ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধেই অভিযান চলে। আর হিউম্যানহলারের ভাড়া নির্ধারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কাজ চলছে।

জানা গেছে, রাজধানীর ১৫৯টি রুটে চলাচল করে লেগুনা। ৪ হাজার ২১৯টি গাড়ির অনুমোদনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২৪৭৮টির রুটপারমিট দিয়েছে মেট্রো আরটিসি (রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি)। এসব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দিচ্ছে বিআরটিএ। কোন রুটে গাড়িগুলো চলবে তারও অনুমোদন নিতে হচ্ছে; কিন্তু ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়নি সরকার। ২০১৫ সালে মিনিবাসের আদলে এগুলোর ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে নির্দেশনা দিলেও মাঝপথে থেমে যায় ওই প্রক্রিয়া। সূত্র: আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়