শিরোনাম
◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:৩৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১১ বছর পর পিতৃ স্বীকৃতি

মোস্তাফিজার রহমান বাবলু ও মদিনাতুল জান্নাত রুহি, রংপুর: ১১ বছর পর সন্তানের পিতৃ স্বীকৃতি ও ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক যাবেদ হোসেন।

সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত আসাদুল ইসলামের (৪০) উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেয়।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুর ইউনিয়নের বান্দারপাড়া গ্রামের রিকশাচালক সুলতান হোসেনের কন্যা সুলতানা খাতুন ঘটনার ২ বছর আগে দূর্গামতি গ্রামের আলেফ উদ্দিনের বাড়িতে মাঝে মধ্যে গৃহস্থালীর কাজ করতেন। এর সুবাদে আলেফ উদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুলতানাকে। একপর্যায়ে সুলতানা অন্তঃসত্তা হলে তার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।

কিন্তু আসাদুলের পরিবার এতে রাজি না হলে সুলতানা বাদি হয়ে আসাদুল ও তার বাবা আলেফ উদ্দিনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ৩ জুন মিঠাপুকুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন । পরবর্তীতে মামলার তদন্তে আলেফ উদ্দিনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে আসাদুলের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এদিকে মামলা দায়েরের পর ২বছর কারাগারে বন্দী থেকে জামিনে বেরিয়ে স্বপ্নপুরী এলাকায় বিয়ে করেন আসাদুল। বর্তমানে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে তার।

দীর্ঘ ১১ বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার এই মামলার রায়ে অভিযুক্ত আসাদুলের যাবজ্জীবন কারাদ- ও ২লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ- এবং ছেলে সিয়াম বাবুর পিতৃস্বীকৃতির রায় দেয় বিচারক। সেইসঙ্গে সিয়াম বাবু প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র তার যাবতীয় ব্যয় বহন করবেন বলেও জানান বিচারক।

সিয়াম পার্শ্ববর্তী বালুয়া ইউনিয়নের একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্রইব্যুনাল-১ এর পিপি রফিক হাসনাঈন। এছাড়াও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়