সাঈদা মুনীর: খাবার থেকে ফরমালিন দুর করার কিছু সহজ উপায়। অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য ফরমালিনের ব্যবহার বাংলাদেশে এখন ডাল ভাত হয়ে গেছে। ফরমালিন মূলত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু একশ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যেই ফরমালিন মিশিয়ে থাকেন। এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। এছাড়া ফরমালিনযুক্ত খাবার খেলে গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
১. সবজি রান্না করার আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গরম পানির মাঝে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে তাতে ডুবিয়ে রাখুন। পানিটা সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সবজি থেকে ফরমালিন চলে যায়।
২. ফল খাওয়ার আগে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে। আপেল জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে খোসা ছাড়িয়ে খান।
৩. ১ ঘণ্টার বেশি সময় মাছ-মাংস পানিতে ডুবিয়ে রাখলে শতকরা ৬০ ভাগ ফরমালিন নষ্ট হয়ে যায়।
৪. প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে মাছ ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। তারপর সাধারণ পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
৫. ভিনেগার ও পানি একসাথে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মাছ-মাংস ডুবিয়ে রাখলে শতভাগ ফরমালিন নষ্ট হয়ে যায়।
৬. শুটকিতে প্রচুর ফরমালিন দেয়া হয়। এজন্য শুটকি মাছ প্রথমে গরম পানিতে একঘণ্টা, তারপর স্বাভাবিক পানিতে আরও এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফরমালিন মুক্ত হবার পাশাপাশি স্বাদও বাড়বে।
৭. দুধ ভালো করে ফুটালে দূর হয়ে যায় ফরমালিন।
আপনার মতামত লিখুন :