শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:৪৯ সকাল
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধামরাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতি

মো. আল মামুন খান, ধামরাই: অনেক আগে থেকেই ধামরাই পল্লীবিদ্যুৎ অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে দালালদেরও দৌরাত্ম। এ অফিসে ঘুষ, সুপারিশ ও দালাল ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছেনা বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এদের কার্যকলাপ দেখলে মনে হয় দালালরাই যেন পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের হর্তাকর্তা।

কিন্তু এসব অবৈধ সংযোগের কারণে এক দিকে যেমন বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে, অপর দিকে গ্রাহকরাও না জেনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চরম বিপাকে পড়ছেন। অফিসের কথিত কর্মকতার্দের যোগসাজসে দালালরা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে। আবার কোন কোন সময় অফিসের কাউকে না জানিয়ে দালালরাই বাজার থেকে মিটার কিনে এনে গ্রাহকদের অবৈধভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দিচ্ছেন।

এছাড়া কয়েক হাজার ব্যক্তি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেও ঘুষ না দেয়ার কারণে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেনা। মাসের পর মাস তাদের আবেদনপত্র ফাইল বন্দি করে রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

তবে এবারের অভিযোগ একটু অন্য ধরণের। সম্প্রতি ধামরাইয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে জন্য উপজেলার শ্রীরামপুরের ভাটারখোলায় নির্মাণ করা হচ্ছে পাওয়ার গ্রিড স্টেশন।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর অর্থায়নে এবং তত্ত্বাবধানে পাওয়ার গ্রিড স্টেশনের নির্মান করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ। এ স্টেশন থেকে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ ধামরাইয়ের ১ হাজার ৯৭২ বর্গকিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইনের প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৫ জন গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য শ্রীরামপুর মোড় থেকে রাস্তার দু’পাশে প্রায় শতাধিক খুঁটি স্থাপনের কাজ করা হয়েছে। খুঁটিতে বৈদ্যুতিক তারও লাগানো হয়েছে।

খুঁটি স্থাপন করেছে মিয়াজী এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড এসোসিয়েটস যার সত্ত্বাধিকারী আখেরুজ্জামান নামের এক ঠিকাদার। খুঁটি স্থাপনের পর খুঁটির গোড়ায় সিমেন্ট সুড়কি দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো খুঁটিতেই তা দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রয়োজনীয় তদারকীর অভাবে ঠিকাদার দায়সাড়াভাবে নিম্নমানের কাজ করায় পাওয়ার গ্রীডে সংযোগ দেওয়ার আগেই গত কয়েকদিনে রাস্তার পূর্ব পাশে প্রায় ৩০-৩৫টি খুঁটি তারসহ নদীতে পড়ে গেছে। হেলে গেছে আরো কয়েকটি খুঁটি।

সরেজমিন দেখা যায়, যেভাবে খুঁটি পড়ে গেছে তাতে যদি বিদ্যুৎ সঞ্চালন থাকতো তাহলে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতো পথচারীরা। সংযোগ দেওয়ার আগেই খুঁটি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন সাধারণ গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ধামরাই জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গোলাম সারোয়ার মোর্শেদ জানান, যেভাবে ঠিকাদার কাজ করেছে এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আখেরুজ্জামান বলেন, খুঁটির গোড়ায় সিমেন্ট সুড়কি দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার কথা ছিলো যা এখন দিতে হবে। ক্ষতি হলে আমার হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়