জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : অভাবের তাড়না আর দালালদের খপ্পরে পড়ে রোহিঙ্গা শিশুরা জড়িয়ে পড়তে পারে নানা অনৈতিক কাজে। তাই এসব শিশুদের যদি আমরা ভালো শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে তারা ১৫-২০ বছর পর আমাদের দেশের সম্পদও হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অপরাধ বিশ্লেষক জিয়া রহমান।
মিয়ানমারে বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের দিন কাটছে চরম অনিশ্চয়তায়। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এতিম এসব শিশুদের বিষয়ে কোন উদ্যোগ আপাতত নিচ্ছেনও না সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব শিশুদের মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।
মিয়ানমার থেকে আসা এসব রোহিঙ্গা শিশুরা কোনোভাবেই মন থেকে মুছতে পারছেনা সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। বাবা-মা পরিবারহীন শিশুরা কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে দারিদ্র আর অপুষ্টির সাথে।
এমন অবস্থায় কয়েকটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার গবেষণায় উঠে আসে আতঙ্কিত রোহিঙ্গা শিশুদের নানা সমস্যার কথা।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, শরনার্থী শিবিরে বর্তমানে ৪ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে যার মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজারই নতুন। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৩৯ হাজার ৮৪১ জন এতিম শিশুকে চিহ্নিত করেই দায় সেরেছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র গবেষক আমিনা মাহবুব বলেন, প্রায় ২’শ শিশুর সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতার জানতে পেরেছি, কিশরীরা নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করে না এবং তাদেরকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য অনেক দূর যেতে হয় যেখানে বন্য পশু আছে। এছাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে মেয়ে শিশুদের যৌন হয়রানি হতে হচ্ছে।
সমাজক্যাণমন্ত্রী রাশেদা খান মেনন বলেন, এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ আপাতত নিচ্ছে না সরকার।
তবে বাস্তুচ্যুত এ শিশুদের একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে যৌথ উদ্যোগ নেয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র : ডিবিসি টিভি
আপনার মতামত লিখুন :