দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রাজনীতির আবিস্কার। অসংখ্য সাহসী যুব সমাজ, জাতির জন্য দানবীররা রাজনীতির মাধ্যমে আত্মনিয়োগ ও আত্মদান করেছেন যার সঠিক হিসাব জানা নাই। রাজা-বাদশাহ, বৃটিশ শাসন, পাকিস্তানের পরাধীনতার শিকল ভাংতে, ভাষার জন্য জীবন দানের মাধ্যমে অমরত্ব অর্জন করেছেন তারো কোন পরিসংখ্যাণ নাই। জীবনের মায়া নিয়ে কি আর রাজনীতি করা যায়, নাকি জাতির সেবায় অমরত্ব অর্জন করা যায়। খুদিরাম, সূর্যসেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যদি লন্ডন থেকে হুকুম দিতেন, তবে কি বাঙ্গালি একটি স্বাধীন মানচিত্র পেত ? না কি আজ তারেক জিয়া লন্ডনে বসে দেশের মানুষকে আগুন দিয়ে জ্বালাও-পোড়ার নির্দেশ দিতে পারে?
সুযোগ এসেছিল দেশের জন্য, দলের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করে নেতা-কর্মীদের মাঝে থেকে রাজনীতি করার। নেলসন ম্যান্ডেলার মত ২৭ বছর আর কারাবাস করতে হতো না। জাতির জনকের মতো, তারেকের জন্য কবর খোড়া হতো না। দেশের মানুষের অভিযোগ শুনতে হতো না, দেশ ও দেশের জনগণকে ফেলে রেখে লন্ডনে ভোগ-বিলাসের জীবন বেছে নিয়েছেন তারেক জিয়া। তারেক জিয়া রাজনীতির ইতিহাস পড়েন কিনা জানি না, পড়লে জানতে পারতেন ভোগ বিলাসীদের জন্য রাজনীতি হতে পারে না। অনেক রাজা বাদশার সন্তান, এমনকি মোগল সা¤্রাজ্যের উত্তরাধিকারীরা এখন রাজপথে ঠেলাগাড়ী চালায়।
রাজনীতির মীরাক্কেলে জাহাজের খালাসি, চিনাবাদামওয়ালা, অভিনেতা এমনকি চা বিক্রেতাকেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছে জনতা। জনতার হিসাব, জনগণের পাশে থেকে জনসেবার প্রতিদান দিয়েছেন জনগণ। তারেকের সামনে সেই সুযোগ ছিল। বাংলাদেশের কিছু মানুষ জিয়াউর রহমানের অনুসারী ছিল, মানি ইজ নো প্রবলেম - এই ডায়লগের জন্য। যাদের মানির প্রয়োজন ছিল তারা তার অনুসারী হয়েছে। কন্ট্রাক্টর, ইজারাদার, চাঁদাবাজ, মাদক স¤্রাটরা আজ রাজনীতির মাঠে। চরিত্র হরণ করেছিলেন জিয়া, তবুও কিছু অনুসারী আছে। তারেক সেই পথও পরিহার করেছেন, জিয়ার মানি ইজ নো প্রবলেম নিজে গ্রহণ করেছেন, মানির জন্য দলে আসাদের চিটার-বাটপার বলে খ্যাতি দিয়েছেন।
দলে জিয়ার, খালেদার, রাষ্ট্রের ও এতিমের টাকায় লন্ডনে বসে আরাম-আয়েশ করছেন। রাজনীতিকে পঙ্গুত্ব করার এমন কোন রাস্তা নাই যা তারেক ব্যবহার করেন নাই। জানিনা এই পঙ্গুত্ব নিজের প্রতিশোধ কি না। একজন পঙ্গু হয়েছেন বয়সের ভারে, অন্যজন মাইরের চোটে। এখন পরিকল্পনা হতে পারে দেশ ও জাতিকে পঙ্গু করে ছাড়বেন। জনগণ তারেককে গ্রহণ করবে না একথা হয়তো বুঝে গেছেন।
যদি কোনদিন মীরাক্কেল ঘটে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে, তবেই দেশে আসবে তারেকের হাওয়া ও খৈয়াম ভবনতো আছেই। নিজের পঙ্গুত্ব দেশের উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে, কিন্তু জাতি সেটা গ্রহণ করবে কিনা বুঝতে হবে। ইতিমধ্যে পাসপোর্ট জমা দিয়ে আরেক নজির সৃষ্টি করেছেন তারেক। এ নিয়ে বিতর্ক রাজনৈতিক অঙ্গনে। রাজনীতি কতপ্রকারে পঙ্গু হতে পারে এবং পঙ্গু করা যায়, তারেক এর সর্বশেষ দেখে ছাড়বেন। জনগণ দেখবে নৌকা কতবার ক্ষমতায় রাখা যায়।
লেখক : সভাপতি, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :