মাদকের ভয়াবহতা আমাদের বর্তমানকে অনিশ্চিত করে দিচ্ছে। যুব সমাজের একটা বিরাট অংশ শিক্ষিত হোক, নিরক্ষর হোক, ধনি পরিবারের সন্তান বা গরিব পরিবারের সন্তান হোক । পরিশেষে তারা আজকে মাদকের নীল বিষে জর্জরিত। কমলাপুর রেল স্টেশনের কুলি শ্রমিক যেমন মাদকে আসক্ত, তেমনি গুলশান বনানির ধনি-গরিবের সন্তানরাও মাদকাসক্ত। মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে গোটা দেশকে বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে যে আইন আছে, তা মুখে বললে হবে না, তা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ফেনসিডিল আসে, তা নিয়মিতই পত্রিকায় আসছে এবং এই মাদকের সাথে যারা যুক্ত আছেন, তাদের নামও পত্রিকায় আসে।
পত্রিকার সাংবাদিকরা যাদের খুজে পায়, আমাদের গোয়েন্দারা তাদের খুঁজে পায় না কেন? এটি আমার একটি প্রশ্ন। মাদক সরবরাহকারিরা মাঝে মাঝে ধরা পড়লেও তাদের মূল হোতা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। এজন্য আমাদের যুব সমাজের চরিত্র নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের কর্মক্ষম শক্তি ধংসের দিকে যাচ্ছে। একটি পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য একটা মাদকাসক্ত তরুণ বা তরুণীই যথেষ্ঠ। আমাদের জীবনের চিত্র অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি। সামাজিকভাবে এর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা একান্তই প্রয়োজন। সামাজিক প্রতিরোধ এখনো দূর্বল এবং মাদকের বিরুদ্ধে সরকারি তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।
এমনকি কখনো কখনো পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানোর সময় যে পরিমান মাদক ধরা হয়, তার চাইতে কম জমা দেওয়া হয়, এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। প্রশাসনের কিছু কিছু সদস্য মাদকের সাথে জড়িত আছে। একদিকে মাদক বন্ধের জন্য সামাজিক প্রতিরোধ দরকার, অপরদিকে ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজের দলিয় লোকজনের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দেয় যারা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। দেশের স্বার্থে আগামি প্রজন্মের স্বার্থে মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
পরিচিতি : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :