ডেস্ক রিপোর্ট : একনেকে পাস হওয়ার ৮ মাস পর চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় খাল খননের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এই প্রকল্প শুরু হওয়ায় এ বছর চট্টগ্রামবাসী এর কোনো সুফল পাবে কিনাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, এ বছর বেশি প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। এ মুহূর্তে আমাদের একটাই লক্ষ্যÑ তা হলো চলতি বছরের বর্ষায় জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখা। তবে আগামী বছর থেকে প্রকল্পের সুফল দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে অনেক সময় লেগেছে। তবে শুরু যখন হয়ে গেছে, চট্টগ্রামের জনগণ দ্রুত এর সুফল পাবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর নগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নগরীর ১৬টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব খাল থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলনের মাধ্যমে পানির দ্রুত অপসারণের কাজ করা হবে। গতকাল নগরীর ষোলশহর থেকে খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে, তা মুরাদপুর, বহদ্দারহাট ও বিবিরহাট আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা এলাকা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট একনেকে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। কিন্তু সিডিএর দেওয়া প্রকল্পটি তাড়াহুড়া করে তৈরি করা হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সমন্বয় করার জন্য চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল্লাহকে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করেন। আর সমন্বয়ের পুরো দায়িত্ব দেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। দীর্ঘ সমন্বয় ও সংযোজন-বিয়োজনের পর অবশেষে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিয়ারিং কোরের সঙ্গে এ ব্যাপারে সিডিএর চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, প্রথম পর্যায়ে সরকার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ওই অর্থ থেকেই এ বছর বর্ষার আগে খাল খননের কাজ চলবে। সূত্র : আমাদের সময়