ওমর শাহ: আগামী অর্থ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে এক কোটি ১০ হাজার কোটি রুপির বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশটিতে নতুন বিতর্ক। গত শুক্রবারে বাজে অধিবেশনে বিরোধী দলীয় এমপিরা এর চরম বিরোধিতা করে ওয়াকআউট করেছে।
দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে সামনে রেখে এভাবে সামরিক বরাদ্দ বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন অনেক আইনজীবীরাও। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল যখন বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন তার বক্তব্যে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেন অনেক এমপি। তবে তাদেরকে ওয়াকআউট করতে ও বিরোধিতা করা থেকে বিরত রাখে পিএমএলএনের এমপিরা। তারা মানবপ্রাচীর তৈরি করে আটকে দেন বিরোধী দলীয় এমপিদের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গি সহিংসতার জন্য পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে বিদ্যুত সঙ্কট সমাধানে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করছে চীন। সেখানে ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং তার পরিমাণ শতকরা ৫.৮ ভাগ। এই প্রবৃদ্ধিকে আগামী অর্থবছরে ধরা হয়েছে ৬.২ ভাগ। অর্থমন্ত্রী মিফতাহ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে যখন বলতে থাকেন দেশে ঐতিহাসিকভাবে সুদের হার সবচেয়ে কম। এ জন্য ব্যবসা ও শিল্প কারখানায় প্রবৃদ্ধি এসেছে। কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। এ বক্তব্যের সময় বিরোধী দলীয় এমপিরা বাজেট পেপার ক্ষোভের সঙ্গে ছুড়ে মারেন বাতাসে।
২০১৮/১৯ অর্থ বছরে পাকিস্তানে মোট ৫ লাখ ৯০ হাজার কোটি রুপির বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এর মধ্যে এক কোটি ১০ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছেন প্রতিরক্ষা খাতে। বিদ্যমান ৯২ কোটি রুপি থেকে শতকরা ২০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে এই বাজেট। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তার মোট পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। তা স্থগিত করায় পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ফলে সরকার সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছে। সূত্র: জং নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :