স্পোর্টস ডেস্ক: ভালো ছাত্র যে ভালো শিক্ষক নাও হতে পারে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা প্রমাণ করেই চলেছেন। ফুটবলের অবিসংবাদিত কিংবদন্তির ফুটবল প্রজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কঠিন কাজ। কিন্তু ম্যারাডোনার ভূমিকা যখন কোচের, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করা সহজ হয়ে যাচ্ছে। আর সেই সুযোগ ম্যারাডোনা নিজে করে দিচ্ছেন। এবার তো দ্বিতীয় বিভাগের একটি দলের চাকরি হারালেন। সেটিও আরব আমিরাতের ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ!
আল ফুজাইরাহকে প্রথম বিভাগে তুলে আনার মিশন ছিল ম্যারাডোনার কাছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিভাগের অ্যারাবিয়ান গালফ লিগে গতকাল খোরফাকান ক্লাবের সঙ্গে ১-১ ড্র করায় নিশ্চিত হয়েছে, ফুজাইরাহ সরাসরি প্রথম বিভাগে অন্তত যাচ্ছে না। ক্লাবটির এখনো প্রথম বিভাগে ওঠার সুযোগ আছে। দুই লেগের প্লে অফ খেলতে হবে তাদের। সেখানে জিতলেই প্রথম বিভাগ। তবে তত দিন পর্যন্ত ম্যারাডোনার ওপর আর ভরসা রাখতে চাইল না ক্লাবটি। গত বছর মে মাসে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।
কালকের ম্যাচে ড্র হওয়ার পরপরই ফুজাইরাহ স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কাল বেশ রাতে ক্লাবের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয় কোচের পদে পরিবর্তন আসছে।
আরব আমিরাতে এটি ম্যারাডোনার দ্বিতীয় কোচের চাকরি ছিল। এর আগে ২০১১ ও ২০১২ সালে আল ওয়াসলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেখানেও চাকরি হারিয়েছেন। কোচ ম্যারাডোনা ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাদ পড়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এর আগে নব্বইয়ের দশকে সাবেক এক সতীর্থের সঙ্গে জুটি বেঁধে আর্জেন্টিনার করিয়েন্তেস ও রেসিং ক্লাবেও কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেখানে ছিলেন ব্যর্থ!
পাঁচ দফায় ব্যর্থ হয়ে ম্যারাডোনা কোচের ভূমিকাটা শিকেয় তুলে রাখবেন ভাবা হয়তো ভুল। ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা মানুষটাই এমন, আবারও কোনো না কোনো দলের দায়িত্ব নিয়ে ফিরবেন। এমনকি সেটি যদি তাঁর কিংবদন্তির সঙ্গে বেমানান তৃতীয় বিভাগের কোনো দলও হয়, তাও সই! এখন দেখা যাক, কত দিন নিজেকে ফুটবল থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন ছিয়াশি বিশ্বকাপের মহানায়ক। প্রথমআলো
আপনার মতামত লিখুন :