হ্যাপী আক্তার : বর্তমানে দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রায় চল্লিশ হাজার টাওয়ার। এই বিপুল সংখ্যক টাওয়ারের কারণে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও মানুষের। যার কারণে চলতি মাসেই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে টাওয়ার শেয়ারিং পদ্ধতি। মানসম্পন্ন টেলিসেবা নিশ্চিত করতে এ বছরই বাস্তবায়ন হচ্ছে টাওয়ার শেয়ারিং পদ্ধতি। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা। এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি কমার পাশাপাশি গ্রাহক পাবে নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা।
বর্তমানে প্রতিটি অপারেটর আলাদা টাওয়ার নির্মাণ করায় বাড়ছে এর সংখ্যা। এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০১৬ সালে সংশোধন আনা হয় টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালায়। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মনে করেন, এতে অপারেটরদের ব্যয় কমার পাশাপাশি বাড়বে সেবার মান।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, টাওয়ার শেয়ার করতে হবে। তার সাথে টাওয়ার শেয়ার করার জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতে তৈরি করবে। ইতোমধ্যে শেয়ার টাওয়ার লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ৪টি প্রতিষ্ঠানকের শেয়ার টাওয়ারের লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
বর্তমানে দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রায় চল্লিশ হাজার টাওয়ার। এর মধ্যে রবির ১৪ হাজার গ্রামীণের সাড়ে ১০ হাজার, বাংলালিংকের প্রায় ৯ হাজার এবং টেলিটকের আছে সাড়ে চার হাজার টাওয়ার। তবে তৃতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া না নিয়ে নিজেরাই টাওয়ার তৈরি পক্ষে অপারেটররা।
অ্যামটরের মহাসচিব টি আই এম নূরুল কবির বলেছেন, আইডিডাব্লিউ, আইটিএস ও এএমটিওবি এগুলোর আলাদা অপারেটর হয়েছে। তারা মূল অবকাঠামোকে নিয়ে যে টাওয়ার তৈরি করেছে, সেগুলোকে নিয়ে তারা আবার আলাদাভাবে অন্যদেরকে সার্ভিস দিচ্ছে। এতে করে সার্ভিসের যে মান সেটা কখনো বাড়েনি বরং সার্ভিসের মান কমেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী টাওয়ার নির্মাণ ব্যবস্থাপনা থাকবে চারটি কোম্পানির হাতে। লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশে নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করতে
বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতালের ছাদ নিয়ম না মেনে যেখানে-সেখানে তৈরি হচ্ছে মোবাইল টাওয়ার। এতে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের। সূত্র : ইন্ডিপেনডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :