হ্যাপী আক্তার: সংঘর্ষ-হত্যাসহ সম্প্রতি বেশ কিছু অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য আবারও আলোচনায় এসেছে রোহিঙ্গা ইস্যু। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সকলকেই। যদিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের এসব বিষয়ে তৎপর। নিয়ন্ত্রণে আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে টহল।
কক্সবাজারের কুতুপালং থেকে বালুখালি ও তার আশপাশের এলাকায় মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে বড় এই অংশে। তবে তাদের প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো।
এরই মধ্যে দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের ।
রোঙ্গিা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেছেন, স্থানীয় জনগণ সবসময় নিরাপত্তহীনতার ভুগছে। তাদের সঙ্গে কোন ধরনের বিপদ ঘটে। রোহিঙ্গারা সে কারণেই হোক তাদের মধ্যে এক ধরনের হিংস্রতা কাজ করে।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ভেতরে দিন কাটে অজ্ঞাত সংঘাত ও সংঘর্ষের মধ্যে কাটে। আমাদের যে কর্মকর্তারা আছেন রোহিঙ্গাদের বিচার করতে করতেই তাদের দিন কেটে যায়।
পুলিশের তথ্য বলছে গত ৮ মাসে হত্যাসহ ২০টিরও বেশি অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটেছে। নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক দিয়ে দিন দিন বাড়ছে শঙ্কা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, নিরাশা যে মানুষের মনে কাজ করে তাতে উগ্রপন্থায় দাভিত হয়। এই বিষয়টি রোহিঙ্গাদের ভেতরেও কাজ করছে। এটাকে ব্যবহার করে যে কোনো দল যদি তৎপর হয় তখন এক সময় দেখা যাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
বিষয়টি নজরে রেখে রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতরে ও স্থানীয় নাগরিক সমন্বয়ে রাতের বেলা টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। সাথে জোরদার করা হয়েছে পুলিশের পাহাড়া।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের কেউ যেন নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে না পারে। তাদেরকে কোনো অসাধু বিষয়ের দিকে জড়াতে না পাড়ে সে বিষয়ে পুলিশ সজাগ আছে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বসবাস যতই বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই দেখা দেবে নানান রকমের জটিলতা। তাই রোহিঙ্গাদের শিগগিরই তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :