জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে বছরের পর বছর ধরেই চলছে লাগামহীন দুর্নীতি। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রকৌশল বিভাগই নকশা অনুমোদন, নামকরণ, ফিটনেস, নিবন্ধন এবং নৌযানের অনাপত্তিপত্রের দিয়ে থাকে। তবে দুদকের অনুসন্ধান বলছে, ঘুষ ছাড়া মিলে না এসব কাজের সমাধান।
গত বছরের ১৮ই জুলাই নিজের কার্যালয়ে বসে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে দুদকের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম। নৌযানের নকশা অনুমোদন করে দেয়ার কথা বলে ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি।
দুদকের মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্তের পর ফখরুলের পদে আসেন নাজমুল হক। তিনিও একই পথে হাঁটা শুরু করেন। গত ১২ই এপ্রিল একইভাবে এই প্রধান প্রকৌশলীও ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হন।
একজন ঘুষদাতা বলেন, বাধ্য হয়েই আমাদের ঘুষ দিতে হয়।
সারাদেশে ছোট-বড় নৌযানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। সঠিকভাবে নকশা প্রনয়ন ও নির্মাণের অভাবেই ঘটে নৌ পথে দুর্ঘটনা।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রভাবশালী মহলই এই ঘুষ বানিজ্যের সাথে বেশি জড়িত।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে এখন অনেক এখন সতর্ক হয়েছি।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি এই দপ্তরে দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাহলে এই সমস্যা সমাধান হবে।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি এই দপ্তরটিতে কর্মরত কয়েকজনের সম্পদের হিসাবও খতিয়ে দেখা হবে।
সূত্র : ডিবিসি টিভি
আপনার মতামত লিখুন :