রুহুল আমিন : প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি ঠেকাতে নানামুখী চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমসিকিউ বাতিল করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে জানায় জবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মান আরও উন্নত করতে সব ধরনের পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়া হবে। যা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস থেকে কে কতটা শিখেছে, তার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। এমসিকিউ তুলে দেওয়া ছাড়াও ক্লাসে শিক্ষকদের নোট, গাইড বা লেকচার শিট দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। বর্তমানে দেশে উচ্চ শিক্ষার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এমসিকিউ প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গতবছর ৭৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ১২ এবং এইচএসসি থেকে ১৬ স্কোরের ভেতরে তার প্রাপ্ত নম্বর হিসাব করে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া মিড টার্ম ও ক্লাস টেস্টেও শিক্ষকরা চাইলে এমসিকিউ প্রশ্ন রাখতে পারতেন, যা এখন আর করা যাবে না। এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য প্রশ্নপত্রে চারটি বিকল্প উত্তর থাকতো। তার মধ্যে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে দাগ দিতে হতো পরীক্ষার্থীকে।
আপনার মতামত লিখুন :