নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে জগমোহন ডালমিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। প্রয়াত এই ক্রিকেট সংগঠকের হাত ধরেই জন্ম হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। ১৯৯৮ সালে এর প্রথম সংস্করণ ‘মিনি বিশ্বকাপ’ নামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশে। এরপর টুর্নামেন্টটির আরও সাতটি সংস্করণ মাঠে গড়িয়েছে। কিন্তু এবার কলকাতায় আইসিসির বোর্ড সভায় তুলে দেওয়া হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এর বদলে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ভারতে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিসিসিআইয়ের অনেকেই আইসিসির এই সিদ্ধান্তে নাখোশ।
ভারতের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডালমিয়া আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর জানতে পারেন সংস্থাটির কোষাগারে পড়ে আছে মাত্র ২১ হাজার পাউন্ড। আইসিসিকে রক্ষায় ভারতীয় স্পনসরদের সঙ্গে কথা বলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সংস্করণ চালু করেছিলেন তিনি। গত ২০ বছরে এই টুর্নামেন্টের মোট আটটি সংস্করণ থেকে বেশ ভালো অঙ্কের মুনাফা আয় করেছে আইসিসি।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার সেই আইসিসিরই প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন জানিয়ে দেন, ডালমিয়ার চালু করা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জায়গায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত ‘সর্বসম্মতভাবে’ গৃহীত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়ে বিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি ‘পেছন থেকে ছুরি মেরেছেন’ বলে মনে করছেন স্বয়ং বিসিসিআইয়েরই কিছু কর্মকর্তা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা তাই সহজে বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে না। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআইয়ের অনেক সদস্যই আবার সাধারণ সভা ডাকার কথা বলছেন। ডালমিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ধরে রাখতে প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কট করার দাবিও করেছেন অনেকে। এই গুঞ্জনের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সংবাদমাধ্যমকে আইসিসির একাংশের পাল্টা জবাব, ‘ভারত যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে বিদ্রোহের জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ করতে না চায়, ভালো কথা। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশে তা করা হবে।’ প্রথমআলো
আপনার মতামত লিখুন :