শিমুল মাহমুদ: বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার সুবিধার্থে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন।
তিনি বলেন, আইনের মারপ্যাঁচে এবং বিভিন্ন অজুহাতে বেগম জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করায় ক্রমান্বয়ে তার অসুস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই অভিলম্বে মুক্তি হোক যাতে তিনি তার পছন্দমত হাস্পাতালে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেন।
শুক্রবার সকালে (২৭এপ্রিল )নয়াপল্টনস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কতৃক আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।
মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। তাই গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে,আগামী একাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণ করতে খালেদা জিয়ার মুক্তি অত্যন্ত জরুরী।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদ বাতিল করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পৃথিবীর কোনো বড় শক্তি বা জাতিসংঘ রেজুলেশন করলেও ব্রিটিশ সরকার এই ব্যক্তিকে কখনো তার দেশে পাঠাবে না, যতক্ষণ না তিনি (তারেক রহমান) বলেন আমার দেশে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়েছে। তাই সরকার যতই তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার কথা বলুক না কেন সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে না।
তারেক রহমানের নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, ব্রিটিশ আইনে এটা সম্ভব নয়। তারেক রহমানকে পলিটিক্যাল এসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) দেওয়া হয়েছে।
সরকারের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। তিনি (তারেক রহমান) ফিরে আসবেন বাংলাদেশে বীরের বেশে, যখন বাংলাদেশের জনগণ চাইবে। শেখ হাসিনার চাওয়া বা না চাওয়ার ওপর এর কোনো সম্পর্ক নাই।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে এবং তার নাগরিকত্ব থাকবে। ব্রিটিশ আইনের নিয়ম হলো, যখন কেউ পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম চায়, তখন তাকে পাসপোর্টটি জমা দিতে হয় সেখানকার হোম মিনিস্ট্রিতে। এটার অর্থ নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়া নয়।
আপনার মতামত লিখুন :