শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:৩১ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যৌন নির্যাতন পাপ নয়, মনে করে আসারাম বাপু

মাছুম বিল্লাহ : তার মতো ‘মহাজ্ঞানী’ পুরুষ কোনও নারীকে যৌন নির্যাতন করলে তা পাপ বলে গণ্য হবে না বলে মনে করত ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। রাহুল কে সাচার নামে আসারামের আশ্রমের এক ভক্ত আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ কথা সরকারি আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন।

বুধবার ভারতের যোধপুরের আদালত এক নাবিলকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে আসারামকে। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাও শোনানো হয়েছে তাকে।

রাহুল জানান, আসারামের কুঠিতে এক সময় ঢোকার অধিকার ছিল তাঁর। ২০০৩ সালে পুষ্কর, ভিওয়ানি আর অমদাবাদের তিনটি আশ্রমে মেয়েদের যৌন নির্যাতন হতে দেখেন তিনি। এ সব কাজে আসারামকে আশ্রমেরই তিন মহিলা ভক্ত সাহায্য করত। ধর্ষণের ফলে কোনও মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসারাম ঘনিষ্ঠ ওই তিন মহিলা গর্ভপাতের ব্যবস্থাও করত। আশ্রমের ঘরে মেয়েদের ডাকতে ওই তিন মহিলা সহযোগীকে টর্চের মাধ্যমে সঙ্কেতও পাঠাত আসারাম।

রাহুলের দাবি, আসারামের মতো এক জন ধর্মগুরু এ ভাবে নারী নির্যাতন করছে দেখে তাকে চিঠি দিয়েছিলেন রাহুল। পরিণামে তাঁকে আশ্রম থেকে বার করে দেয় আসারাম। পুলিশে গেলে রাহুলের উপর হামলাও চলে।

আসারামের দশ হাজার কোটির সম্পত্তির দেখাশোনার ভার নিয়েছেন মেয়ে ভারতীশ্রী। আসারামের একমাত্র ছেলে নারায়ণ সাই-ও ধর্ষণের অভিযোগে জেলে। কয়েক বছর আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসার দেখভাল করে আসছেন আসারাম-কন্যা। ২০১৩ সালে আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে ভারতীশ্রী আর তাঁর মা-কেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁরা জামিন পান।-আনন্দবাজার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়