ডেস্ক রিপোর্ট: ধামরাইয়ের একটি স্কুলে কোচিং করতে রাজী না হওয়ায় নবম শ্রেণির ৩২ শিক্ষার্থীকে টিসি দিয়ে বের করে দেবার পর সেই সিদ্ধান্ত আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার২৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজে টিসি দিয়ে বরে করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এর প্রতিবাদে ওইদিন দুপুরে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষক আবজাল হোসেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জগদীশ দাস সহ অন্যান্য সদস্যদের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩২ শিক্ষার্থীকে টিসি দিয়ে বের করে দেবার ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ওই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি নিষেধ রয়েছে। এরপরও প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং ফি হিসেবে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। শিক্ষার্থীরা এ কোচিং অবৈধ এবং প্রতি মাসে এত টাকা দিয়ে কোচিং করা তাদের পক্ষে অসম্ভব জানায়। এজন্য হিমেল, মনির, শিপন, ফারুক, জোবায়ের, সাইফুল, রাজু, সুজন সহ ৩২ জন শিক্ষার্থী ২৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) কোচিং ক্লাস না করায় দুপুরে তাদেরকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হস্তক্ষেপে কোচিং ক্লাস চালু করা হয়। তবে টিসি দেওয়ার বিষয় একেবারে সত্যি নয়, বেলীশ্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভর্তির আশ্বাস দেয়ায় আমাদের শিক্ষার্থীরা টিসি চেয়েছে বিধায় তাদেরকে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জগদিশ পাল টিসি দেবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়েছিলো। টিসিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে ফেরত নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :