নিজস্ব প্রতিবেদক : হাল আমলের সুপারফুড হিসেবে ক্রমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলছে ডার্ক চকোলেট। চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়াগোয় অনুষ্ঠিত বার্ষিক এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি-২০১৮ সভায় দেখানো হয়, যেসব ডার্ক চকোলেটে কোকোর মাত্রা অনেক বেশি (৭০ শতাংশ কোকো এবং ৩০ শতাংশ অর্গানিক আখের চিনি), সেগুলো মানসিক চাপ কমানোয় অনেক বেশি কার্যকর। শুধু তা-ই নয়, প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি মানসিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এসব ডার্ক চকোলেট বেশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত। খবর সায়েন্স ডেইলি।
ফ্ল্যাভোনয়েডের (এক ধরনের উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক রঞ্জক, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট) সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর অন্যতম হিসেবে পরিচিত কোকো। সরাসরি মানবদেহে প্রয়োগের ভিত্তিতে মস্তিষ্কের সক্ষমতা ও হূদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ডার্ক চকোলেটের কার্যকারিতা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলই এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজির সভায় প্রদর্শিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরাসরি মানবদেহে প্রয়োগের ভিত্তিতে এটিই প্রথম পরিচালিত গবেষণা।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটির সাইকোনিউরোইমিউনোলজি অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের গবেষক এবং স্কুল অব অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনসের রিসার্চ অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিন লি এস বার্ক বলেন, চিনির মাত্রার তারতম্যের ভিত্তিতে মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে ডার্ক চকোলেটের প্রভাব নির্ণয়ে আমরা গবেষণা করে এসেছি। এবারই প্রথম আমরা মানবদেহে সাধারণ আকৃতির একটি চকোলেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কোকো গ্রহণের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি প্রভাব পর্যালোচনা করলাম এবং এ গবেষণায় উঠে আসা ফল অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ক চকোলেটে কোকোর ঘনত্ব যত বেশি হবে; মানসিক সক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি, মানসিক অবস্থা, রোগ প্রতিরোধ ও অন্যান্য সুফলও তত বেশি হবে।
গবেষণায় আরো দেখা যায়, কোকোর মধ্যে পাওয়া ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক এজেন্ট হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। একই সঙ্গে মস্তিষ্ক ও হূদযন্ত্রের ওপর এর প্রভাবও অনেক ইতিবাচক। সূত্র : বণিক বার্তা
আপনার মতামত লিখুন :