লিহান লিমা: টানা ১৪ দিনের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের পর সোমবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ১০ বছর ধরে আর্মেনিয়াকে শাসন করা সের্জ সার্গসিয়ান। তার পদত্যাগের পর রাজনৈতিক সংকটের মুখে দেশটির পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার সামনের সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
সার্গসিয়ান টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতিশাসিত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী শাসিত ব্যবস্থা চালু করেন এবং রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর আর্মেনিয়ার জনগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে, তারা দেশটিতে নতুন নেতৃত্ব ও পরিবর্তনের দাবি জানায়। সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ও দাবির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সার্গসিয়ান। বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, পহেলা মে পার্লামেন্টে নতুন নেতা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলনরত জনতাকে নেতৃত্ব দেয়া দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা নিকেলা পাশিনিয়ান প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনায়নের আশা করছেন। যদিও পার্লামেন্টে সার্গসিয়ানের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবারও হাজারো বিরোধী সমর্থকরা দেশটির রাজধানী ইয়ারোভানে পাশিনিয়ানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্য র্যালি করে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, তারা ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের আর শাসনক্ষমতায় দেখতে চান না। পাশিনিয়ান বলেন, ‘রিপাবলিকান দল যদি তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তবে তার দল এটি বয়কট করবে। জনগণও পার্লামেন্ট ঘেরাও করবে। তিনি জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে হবে জনগণের, সার্গসিয়ানের দলের নয়।’
সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পর সংবিধান সংশোধন ও সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের পর সৃষ্টি হওয়া এই সংকটকে দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট বলে অভিহিত করা হচ্ছে। দেশটির ক্ষমতাসীন দল তাদের মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়াহু নিউজ।
আপনার মতামত লিখুন :