সান্দ্রা নন্দিনী: ভারতে একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মী ও সাংসদের জড়িত থাকার ঘটনায় এখন বিরোধিদের সমালোচনা ও রাজনৈতিক আন্দোলনে নাজেহাল বিজেপি সরকার। অন্যদিকে, কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েও তীব্র বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়া, দেশের ভেতর-বাইরে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর চাপের মুখে অবশেষে ধর্ষণবিরোধী আইন আরো কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে বিজেপি সরকারকে। নতুন এই সংশোধনীর আওতায় এখন ১২ বছরের নিচে শিশুদের ধর্ষণকারীদের শাস্তি হিসেবে সরাসরি মৃত্যুদ- দেওয়ার বিধান কার্যকর সম্ভব হবে।
ভারতের ভেতর ও বাইরে যখন এমন উত্তাল পরিস্থিতি; সেই মুহূর্তে, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জম্মু-কাশ্মীরে ৮বছরের আসিফা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাস্থল রাসানার গ্রামবাসীদের নির্লিপ্ততা ও সহানুভূতিহীনতায় রীতিমত বিস্মিত হতে হয়। কেননা, মাত্র ২০টি পরিবারের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আসিফা ধর্ষণ- হত্যার বিচার নয় বরং এর পেছনের ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করার দাবির আন্দোলন করতে। বেশিরভাগ গ্রামবাসী একে হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে মুসলমানদের গভীর ষড়যন্ত্রের একটি নীলনকশা হিসেবেই দেখছে।
এপ্রসঙ্গে, পাশের গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ভাগমল খাজুরিয়া বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই হিন্দুদের বদনাম করতে সাজানো হয়েছে।’ এছাড়া, আরেক গ্রামবাসী বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য হিন্দু নয়, মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীরাদায়ী। তারা জম্মু-কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করতে চায়।’ নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে
আপনার মতামত লিখুন :