ডেস্ক রিপোর্ট : দুই থেকে চার বছর কারাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন এক শিশুসহ ১৮ নারী। তারা হলেন, রানী মণ্ডল, রূপা খাতুন, হালিমা খাতুন ও তার শিশুসন্তান আব্দুল্লাহ, নাজমা খাতুন, মারিয়া, হালিমা বেগম, ইতি খাতুন, রিক্তা, আশা আক্তার, নাসিমা খাতুন, আয়শা আক্তার, স্বপ্না, সুলতানা, শান্তা, ডলি আক্তার, রিনা ও রিমা আক্তার। তাদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায়।
বুধবার (২৫ এপ্রিল ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ফেরত দেন। এসময় বিজিবি, বিএসএফ ও দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম এই বাংলাদেশিদের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানবাধিকার সংস্থা যশোরের শাখার প্রোগ্রাম অফিসার সরোয়ার হোসেন জানান, দেশে ফেরত আসা নারীরা বিনা পাসপোর্টে ভারতে গিয়েছিলেন। অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাই শহরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন তারা। পরে তাদের পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। অনুপ্রবেশের অপরাধে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন সে দেশের আদালত। সেখান থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও তাদের মুক্ত করে নিজেদের হেফাজতে রাখে।
পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ফেরত আসাদের দুজনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, শিশুসহ ১২ জনকে মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং ৪ জনকে গ্রহণ করে রাইটস যশোর।
তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কো-অর্ডিনেটর আব্দুল মুহিত। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :