স্বপ্না চক্রবর্তী : জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সরকারি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা হবে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) নীতিমালার অনুরূপ। এর ফলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের জন্য সরকার প্রদেয় সুবিধাদি নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (এনপিসি)-এর দ্বাদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্ম- কৌশল নির্ধারণের জন্য আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) কার্যক্রম জোরদার করেছে। তিনি বলেন, আমাদের পাট শিল্পের গুণগত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পণ্য বৈচিত্রকরণের প্রয়াস জোরদার করা হয়েছে। এখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন এবং অপচয়রোধে এনপিও’র প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ শিল্প, বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্র, তথ্য, কৃষি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাসিবের প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, আইইবি, বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, এনপিও, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রতিনিধিসহ কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা একটি ট্রফি, সনদপত্র এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অনুকূলে তিন বছরের পাবলিসিটির জন্য অ্যাওয়ার্ডের লগো ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় তারা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের মত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। এ বিবেচনায় নতুন এ নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :