মতিনুজ্জামান মিটু : চারিধারে মাটি না রেখে গাছ লাগালে অনেক সময় সামান্য ঝড়েও গাছ পড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরবোরিকালচারের প্রধান বৃক্ষপালনবিদ কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, গাছের গোড়া অনেক সময় কংক্রিটে ঢেকে দেয়া হয়। এতে শিকড় বিস্তৃত হতে না পেরে গাছ দূর্বলভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। সামান্য বাতাসেই উপড়ে বা ভেঙ্গে পড়ে।
এছাড়া তুলনামূলক ফাঁকা জায়গার গাছে বাতাস বেশি লাগে। সৌন্দর্য্য বাড়াতে সাধারণত কৃষ্ণচুড়া, রাঁধাচুড়া ও বটন ব্রাশসহ দূর্বল প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। এই গাছগুলোই ঝড়ে বেশি ভাঙ্গে বা উপড়ে পড়ে। বন অধিদফতরের সামাজিক বন উইং এর উপ-প্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, টর্নেডো হলে অনেক কিছুই ভেঙ্গে যেতে পারে। গাছতো ভাঙ্গতেই পারে। টর্নেডো অল্প জায়গা জুড়ে হয়। এর ভয়াবহতা অনেক বেশি।
গণপূর্ত বিভাগের আরবোরিকালচারের উপ-বিভাগীয় অফিসার কৃষিবিদ মো. আনোয়ারুল হক বলেন, যেসব গাছের মূল মাটির গভীরে থাকেনা এবং শিকড় ছড়ানো থাকে সেসব গাছ সহজে ভেঙ্গে বা উপড়ে পড়তে পারে। গাছ যত শক্তিশালিই হোকনা কেন টর্নেডোর মতো ঝড় হলে তা রক্ষা পায়না। এধরনের ঝড়ে অনেক সময় পাঁকা দেওয়াল ভেঙ্গে যায়। গত রবিবারের টর্নেডোতে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর এবং রমনা পার্কসহ আমার কর্ম এলাকায় বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গেছে।
এবিষয়ে শের ই বাংলা নগরের উপবিভাগীয় অফিসার কাজী মো. আবু সাঈদ বলেন, ওই দিনের ঝড়ে আমার এলাকায় ৭/৮টি গাছ ভেঙ্গে যায়। উল্লেখ্য গত রবিবারে ধানমন্ডি ও শের ই বাংলা নগরসহ ঢাকা মহানগরের কিছু এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে বহু গাছপালা ভেঙ্গে এবং উপড়ে পড়ে। সরেজমিনে লক্ষ্য করা গেছে, ওই ঝড়ে তুলনামূলক ফাঁকা জায়গার গাছই বেশি ভেঙ্গেছে। এ
সব গাছের অধিকংাশেরই গোড়া কংক্রিটে ঢাকা ছিল। গাছগুলোর কোনটির গোড়া এবং কোনটির মাজা থেকে ভেঙ্গে যায়। দুই সিটি কর্পোরেশন মহানগরের সড়কের পাশের এবং জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর ও রমনা পার্কসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার গাছগাছালি গণপূর্ত বিভাগের আরবোরিকালচারের দেখভাল করে থাকে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরবোরিকালচার সিটি কর্পোরেশনের বাইরের সড়কের পাশের গাছ লাগানো থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করে।
আপনার মতামত লিখুন :