এম, এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপু): বিরলের শালবনের পাশ্ববর্তী ভূট্টাক্ষেতে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনায় স্থানীয় জনতা ধর্ষককে আটক করে প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পরে বিরল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধর্মপুর ইউপি’র ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জ শালবনে বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়ে ঐ এলাকার এক লম্পটের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউপি’র দামাইল সেনিয়া পাড়া গ্রামের এক কিশোরী (১৬)।
ধর্ষিতা কিশোরী উপজেলার ৫ নং বিরল ইউপি’র সাবইল গ্রামের আহসান আলীর পুত্র ইমরান (২২) এর সাথে শালবন দেখতে যায়। শালবনে ঘুরাঘুরির ফাঁকে ধর্মপুর নয়াপাড়ার সফির মোহাম্মদের লম্পট পুত্র ধর্ষক বাবুল (৪০) ঐ কিশোরীকে আটক করে তাঁর বন্ধুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
বন্ধু ইমরান প্রতিবাদ করতে চাইলে তাকে অনৈতিক সম্পর্কের বেড়াজালে ফাঁসিয়ে স্থানীয় লোকজনের দ্বারা গণপিটুনির ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জীবনে বাঁচতে চাইলে পালাবার জন্য বলে। এ সময় ইমরান জীবন বাঁচাতে শালবন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে স্থানীয় যুবক হেলাল, সাগর, রাসেল, গোলাপ, মোমিনুল, সানোয়ারকে সাথে নিয়ে পূণরায় সঙ্গীয় বান্ধবীকে শালবনে খুঁজতে গিয়ে শালবনে তাঁকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী ভূট্টাক্ষেতে ধর্ষণ করার সময় লম্পট বাবুলকে দেখতে পেয়ে আটক করে।
স্থানীয় জনতা ধর্ষিতা কিশোরীর কাছে ধর্ষণের লোমহর্ষক কাহীনি শুনে স্থানীয় ইউপি’র চেয়ারম্যানের নিকট বিকালে ধর্ষক বাবুলসহ ভিকটিমকে সোপর্দ করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমের পরিবারকে সংবাদ দেয়ার পাশা-পাশি আমি রাতে বিরল থানায় ধর্ষকসহ ভিকটিমকে সর্পোদ করি।
এঘটনায় বুধবার সকালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক বাবুলকে আসামী করে বিরল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা নং ৩০ দায়ের করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :