ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বিপুল পরিমান জব্দকৃত ইয়াবা কম দেখিয়ে আদালতে উপস্থাপন নিয়ে খোদ পুলিশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন্টস মনিটরিং সেলে অভিযোগ করেছেন। এ কান্ডে বেশকজন ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা জড়িয়ে পড়ায় ফেঁসে যেতে পারেন তারা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর এস আই বশির পুলিশ সদর দফতরে আইজিপির কমúেøইন্ট মনিটরিং সেলে লিখিত অভিযোগ করেন। ৩১ ডিসেম্বর সেটি ১৩৯১ নম্বর স্বারকে এডিশনাল ডিআইজি ডিসিপ্লিন-এর কাছে পাঠানো হয়। গত চার মাস ধরে ওই ফাইল একই অবস্থায় আছে।
আরো পড়ুন : বর্তমান সরকার তারেক ফোবিয়ায় ভুগছে : রুমিন ফারহানা (ভিডিও)
এ বিষয়ে এডিশনাল ডিআইজি (ডিসিপ্লিন) রেজাউল করিম বলেছেন, অভিযোগটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, এই বিষয়টি আমি কিছুই জানতাম না। বিষয়টি আইজিপি অফিস থেকে তদন্ত করছে। এখানে আমাদের কিছু করনীয় নেই।
এসআই বশির অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করা হয়। উখিয়ার জয়নাল মেম্বারের মাধ্যমে কয়েক চালানে ইয়াবাগুলো বিক্রি করা হয়।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মনিরুল ইসলাম, এসআই কামাল হোসেন ও এসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন : বিএনপির রাজনীতিতে জোবাইদা ও সিঁথিকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা
জানা গেছে, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি মামলার সাক্ষী দিতে যান এসআই বশির আহম্মাদ। সেখান থেকে রাজধানীর রামপুরায় নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে তাকে ম্যানেজ করতে ফের ঢাকায় আসেন এসআই মাসুদ রানা। তিনি বশির আহম্মাদের রামপুরার বাসায় গিয়ে এক লাখ টাকা দিতে চাইলে বশির নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় মাসুদ রানা বলেন, স্যাররা আপনাকে টাকা দেওয়ার জন্য আমাকে বিমানে করে পাঠিয়েছেন। এরপরই শুরু হয় দুই কর্মকর্তার মধ্যে বাকবিতন্ডা।
একপর্যায়ে তাদের রামপুরা থানায় নেওয়া হয়। থানার ওসিও তাদের নিবৃত করতে ব্যর্থ হন। পরে তাদের নেওয়া হয় মতিঝিল বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ। সেটির তদন্ত শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন মতিঝিল বিভাগের ডিসির কাছে পাঠান রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা।
আরো পড়ুন : নাগরিকত্ব না থাকলে তারেক রহমানকে কিভাবে দেশে নিয়ে আসবে?
আরো পড়ুন : প্রশান্তির চেয়ে ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ(ভিডিও)
আরো পড়ুন : তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে : বিএনপি
আরো পড়ুন : তারেকের নির্বাসিত জীবন: দলের জন্য চ্যালেঞ্জ?
আপনার মতামত লিখুন :