শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হেলিকপ্টার ও ট্যাংক হস্তান্তর করলো ভারত

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ভারতীয় সরকার কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃৃতিবিজড়িত একটি এমআই-৪ হেলিকপ্টার বিমান বাহিনীকে এবং দুটি পিটি-৭৬ ট্যাংক সেনাবাহিনীকে স্থায়ীভাবে হস্তান্তর করেছে।
বুধবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের এ স্মারক হস্তান্তর করেন। সেনাবাহিনীর পক্ষে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল ষ্টাফ লে. জেনারেল মো. নাজিমউদ্দীন ট্যাংক ২টি এবং বিমান বাহিনীর পক্ষে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম আবুল বাশার হেলিকপ্টারটি গ্রহণ করেন।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমরা আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত। স্বাধীনতা সংগ্রাম ভারত-বাংলাদেশের সৈন্য ও জনগনের সাহস, বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও গৌরবের সাক্ষ্য। এই উত্তরাধিকার এবং চেতনা আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করবে।

পিটি-৭৬ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আর্মার্ড রেজিমেন্টের হালকা ধরনের উভচর ট্যাংক। যুদ্ধের সময় নদী ও জলাশয় পারাপারে এই ট্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ন ভ‍ূমিকা রেখেছিল। গরীবপুরের বিখ্যাত যুদ্ধে এই ট্যাংগুলির ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। যে যুদ্ধে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এম ৩৪ শ্যাফে ট্যাংকসমৃদ্ধ পাকিস্তানী বাহিনীর একটি বড় দল পরাজিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় উত্তারাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলসমূহে পাকিস্তানী বাহিনীকে পিছু হটাতে এই ট্যাংকগুলি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছিল।

এম আই-৪ হেলিকপ্টর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পরিবহন হেলিকপ্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলে যৌথ বাহিনী কর্তৃক আকাশপথে পরিচালিত অপারেশনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল এটি। দ্রুত সিলেট দখল করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছিল। ৪/৫ গুর্খা ব্যাটালিয়নটি এই অপারেশনের জন্য সুরমা নদীর তীরে সিলেটের উপকন্ঠে অবতরণ করেছিল।

আবার এই হেলিকপ্টরযোগেই ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রমত্তা মেঘনা নদীর চড়ে অবতরণ করেছিল ৩১১ পদাতিক ব্রিগেড। মেঘনা পাড়ি দিয়ে টানা ৩৬ ঘন্টায় দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর ওপর ১১০ বার হামলা চালানো হয়েছিল ওই হেলিকপ্টার থেকে। যৌথ বাহিনীর সেই অভিযান মেঘনা হেলিব্রিজ নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য, গতবছর ২২ অক্টোবর গণভবনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের বিমান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারকের একটি তালিকা হস্তান্তর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় হেলিকপ্টার ও ট্যাংক দুটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়।

এমআই-৪ হেলিকপ্টারটি এবং পিটি-৭৬ ট্যাংক দুটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবদানের স্বাক্ষর বহন করে। এমআই-৪ হেলিকপ্টার এবং পিটি-৭৬ ট্যাংক দুটির হস্তান্তর দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিদ্যমান সুসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়