প্রযুক্তি আকাশ ছুঁয়েছে। ঐতিহ্য প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়নোর গতিও বাড়ছে।সেরকম পথে হেঁটে চিঠি লেখার রেওয়াজ নেই বললেই চলে। বদলে গিয়েছে চিঠি পাঠানোর পদ্ধতিও।
শতক পেরিয়ে ভুলতে বসা একটি রেওয়াজকে কিন্তু ধরে রেখেছেন ওড়িশা পুলিশকর্মীরা। ডাক যোগে চিঠি আদানপ্রদান নয়, তাদের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি নিয়ে যাচ্ছে পায়রা। পায়রা একসময় প্রধান বার্তা বাহক ছিল, কিন্তু ভুলতে বসেছিলাম সেই ট্র্যাডিশন। রেওয়াজ ধরে রাখার তাগিদেই পুলিশকর্মীদের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন সবাই।
পঞ্চাশটি পায়রা নিয়ে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল ওড়িশা পুলিশ৷ কটক থেকে ভুবনেশ্বর পাঠানো হয় পায়রাগুলিকে। প্রত্যেকের কাছেই ছিল চিঠি। যা তাদের পায়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
কুড়ি মিনিটেরও কম সময়ে পায়রাগুলি ২৪ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে৷ সত্তর বছরের পুরোনো ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস এই আয়োজনের উদ্যোক্তা। পায়রা দিয়ে চিঠি আদান প্রদানের ধারা তাঁরা বজায় রাখতে চান বলে জানালেন প্রাক্তন ডিজিপি অমিয় ভূষণ ত্রিপাঠি।
১৯৭০ সালে ২০০ টি পায়রা নিয়ে শুরু হয়েছিল ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস৷ দেশের মধ্যে সবথেকে পুরোনো এই পরিষেবা। ১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোনের সময় যখন রেডিও ব্যাবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, তখন তাক লাগিয়েছিল এই পায়রা পরিষেবা। এর মাধ্যমেই চলত জরুরি বার্তা আদানপ্রদান।
আপনার মতামত লিখুন :