শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবি বেলাল চৌধুরীর ঢাবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর জানাজা বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে কবির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে কবির মরদেহবাহী গাড়ি শহীদ মিনারে আসে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।

কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেলাল চৌধুরী বটবৃক্ষ ছিলেন। বাংলার মাটি-মানুষ ও আকাশ নিয়ে লিখতেন তিনি। তার লেখায় এসব ফুটে উঠেছে। কলকাতায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন। দেশ বরেণ্য কবিদের পাশি সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ আত্মীয়-স্বজন ও কবির বন্ধুরাসহ কবিতাপ্রেমি মানুষজন উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কবির মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেওয়া হয়।

এর পর কবির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর শর্শদিতে দাফন করা হবে।

কবি বেলাল চৌধুরী গতকাল দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘ভারত বিচিত্রা’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়