মাদক বন্ধ করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রথমতঃ মাদকের বিরূদ্ধে একটা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার । মাদক শুধু মাদকসেবীদের নয়, গোটা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। একটা সমাজের যুবশক্তি এর দ¦ারা ধ্বংস হয়ে যায় । তাদের জীবনী শক্তি নষ্ট হয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এবং শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। একটা পরিবারকে ধ্বংস করতে মাদক আসক্ত তরুণ বা তরুণী একটি যথেষ্ঠ । আমি মনে করি, যারা এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদেরকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। কারণ, আমরা দেখেছি যে অনেক মাদক ব্যবসায়ী আছে, যাদের নাম পত্র পত্রিকায় আসে কিন্তু তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যান।
অথচ ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ী, যারা ২টা ইয়াবা, ৫টা ইয়াবা বিক্রি করছে বা গাড়িতে করে পরিবহনের ড্রাইভারের কাছে বিক্রি করছে, তাদেরকে ধরা হচ্ছে কিন্তু মূল হোতারা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আমার মতে, মাদক ব্যবসার সাথে যারা যুক্ত, তাদেরকে ধরে আইনের াাওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া দরকার । দ্বিতীয়ত যারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে, তাদেরকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার জন্যে একটা সামাজিক উদ্যোগ থাকা দরকার। কারণ, তারা অসুস্থ ও নেশাগ্রস্ত। ফলে তাদেরকে সেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবার জন্যে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগটা গ্রহণ করা দরকার।
আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানি যে, বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ঢুকছে কোন পথ দিয়ে? যেটা পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী রিপোর্টের মধ্য দিয়ে বের করে আনতে পারেন সেগুলো আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন ? এক্ষেত্রে কিছু কিছু গোয়েন্দা সংস্থা কী এটা করছে না, নাকি তাদের সামর্থ্য নেই? যদি সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সামর্থ্য বাড়ানো উচিত। আর যদি ইচ্ছে করে না করে থাকে, তাহলে মাদকের প্রশ্রয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, তাদেরও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত ।
পরিচিতি : কলামিস্ট ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ / মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :