ডেস্ক রিপোর্ট: সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে ছাত্রলীগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শাখায় ব্যাপক হারে ‘পদ বিতরণ’র অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনেরই বিভিন্ন নেতা।
কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে আগামী ২৫, ২৬ ও ২৯ এপ্রিলে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে এই তিন ‘সুপার ইউনিটে’ ‘ইচ্ছেমতো’ পদ বণ্টনে সংগঠনে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটিরই নেতারা।
গত রোববার থেকে কেউ কেউ ভিজিটিং কার্ড কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন পদ পাওয়ার কথা জানিয়ে নিজেদের জাহির করছেন। শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিও আসছে ফেইসবুকে।
শেষ মূহুর্তে এভাবে পদ দেওয়ার পেছনে ‘বাণিজ্য’ প্রধান হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগও এসেছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি মঙ্গলবার বলেন, “সম্মেলনের দুই-একদিন আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এভাবে পদ না দিলেও পারত। যারা পদ পেয়েছে, তারা যদি প্রকৃত অর্থেই রাজনীতি করে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই সম্মেলনেই পদ পেতে পারত।
“এখন এরকম যাচাই-বাছাই না করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে পদ দিলে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে সংগঠনে অস্থিরতা তৈরি করতেই পারে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি বলেন, “পদ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে আরও আগে দিতে পারত। কালকে সম্মেলন, আজকে কেন পদ দিতে হবে। এখানে অবশ্যই আর্থিক লেনদেনের বিষয় আছে।
“তাছাড়া এই নতুন নেতাদের অনেকেই নতুন মুখ। অনেককেই আমরা ফেইসবুকের মাধ্যমেই চিনলাম।”
তার মতোই বক্তব্য আসে ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরও কয়েকজন নেতার কাছ থেকে।
এ বিষয়ে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, “সামনে সম্মেলন। ইতোমধ্যে কমিটির অনেকে চাকরিতে চলে গেছে, অনেকে বিবাহিত। তাই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে নতুন করে নেওয়া হচ্ছে।”
গণহারে নেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “যে পদগুলো ফাঁকা হয়েছে, আমরা শুধু ওই পদগুলোই পূরণ করছি।”
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, “আমাদের কমিটির অনেকের চাকরি হয়ে গেছে, আবার অনেকে বিবাহিত।
“মূলত তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতেই নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ এই প্রক্রিয়াকে ভুল মনে করছেন।
তিনি বলেন, “আমরাও শেষ মুহুর্তে কিছু পদ দিয়েছিলাম। তা আমাদের ভুল ছিল। কারণ শেষ মূহুর্তে পদ দিলে যাচাই-বাছাই করা কঠিন হয়ে যায়।”
এতে সমস্যার দিকটি চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “এভাবে গণহারে পদ দিলে অনেক জামাত-শিবিরের অনুপ্রবেশকারী আমাদের মধ্যে ঢুকে যায়। আজকে যে চিঠিটা নিয়ে যাচ্ছে, সেটাই ভবিষ্যতে সে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাবে।” সূত্র: বিডিনিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :