বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভালো চিকিৎসার বদলে চলছে অমানবিক নৈরাজ্য এই অভিযোগটি শতভাগ সত্য । ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আমাদের দেশে যেগুলো আছে, সাধারণত এগুলোর সাথে যদি সিএমএইচ এর তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে, সিএমএইচ এ যেই রিপোর্ট ৫০০ টাকায় করা যাবে, যদি ঐ রিপোর্টাই ল্যাবএইডে করতে যাওয়া হয়, তাহলে সেখানে লাগবে ১৫০০ টাকা । যদি আমরা কোন সরকারি হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজে যাই, তাহলে লাগবে ৩০ টাকা । তাহলে বুঝা যাচ্ছে, জিনিসটা একই কিন্তু এই টাকার পরিবর্তন কেন হচ্ছে?তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তাদের এই প্রতিষ্ঠান চালাতে অনেক টাকা খরচ লাগে ।
অফিস ভাড়া, বিদ্যুত ভাড়া, কর্মচারীর বেতন এ সকল কিছু ম্যানেজ করতে হয় বলে তারা টাকার পার্সেন্টিজ বাড়িয়ে নেয় । এটা কতো পার্সেন্ট বাড়বে? এখন যেটা আছে, এটা খুবই বেশি এবং অসহনীয় । বেশি বললে বোধ হয় কম বলা হবে, আমার ভাষায় একদম অসহনীয় । মানুষের সাধ্যের অতীত । বিপদে পড়লে মানুষ বাড়ি-ঘর বিক্রি করে হলেও তার আপন মানুষের চিকিৎসা করে ।
এটার বিরুদ্ধে প্রধান ব্যবস্থা হচ্ছে মানুষকে সচেতন হতে হবে সকল দিক থেকেই এবং পত্র পত্রিকার মাধ্যমে, টেলিভিশন টক শোতে বা এভাবে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচার করা দরকার এবং আমাদের দেশে যারা প্রকৃত দক্ষ চিকিৎসক আছেন, তাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সাংবাদিকদের পত্র পত্রিকায় এই ব্যাপার নিয়ে প্রচুর লেখা উচিত। সম্মলিতভাবে এটা প্রতিরোধ করা উচিত ।
পরিচিতি : সাবেক আইজিপি/মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা /সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :