বেপরোয়া গাড়ি চালকদের সমস্যা সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য কেউ চেষ্টা করে না, গাড়ি চালকরা রাস্তায় এসে রাজা হয়ে যায়। আইন প্রয়োগকারীরা রাজা হয়, পুলিশ রাজা হয়। পথচারি বা যাত্রী যারা থাকেন, তারাও রাজা হয়ে যায়। সবাই যদি রাজা হয়ে রাস্তায় চলে, তাহলে আইন মেনে চলবে কারা? মোট কথা প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা বাড়ছে। সকলের অজান্তে প্রতিদিন ১৬০ টি নতুন গাড়ি রাস্তায় নামে এবং ঢাকায় সপ্তাহে ২০০০ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে। যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে তারা কোথা থেকে ড্রাইভিং শিখেছে? তাদেরতো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। ড্রাইভাররা গাড়ি চালানো না শিখেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিচ্ছে। যারা মালিক তারাও যাচাই করছে না কোন ড্রাইভার ভালো, কোন ড্রাইভার খারাপ। ঢাকায় গাড়ির তুলনায় ড্রাইভারদের সংখ্যা কম, এর জন্য ড্রাইভারদের চাহিদা বেশি।
আর এই চাহিদার জন্য যখন তারা কোনো ভুল করে মালিক তাদের বের করে দেয় না এবং এক মালিক বের করে দিলেও তাদের অন্য জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে চাকরি হয়ে যাচ্ছে। সিটিং বাস চালকদের জন্য যেখানে ট্রেনিংএর দরকার এবং যেভাবে এদের প্রতি নজরদারি দরকার, তা করা হয় না। গাড়ির মালিক যারা আছে, তারা গাড়ি গুলো ড্রাইভারের কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়, তখন চালক একদিনের জন্য মালিক হয়। আর একদিনের জন্য যখন সে মালিক হয়, তখনি তার মাথায় অনেক প্রেসার থাকে। তার জমার টাকা, হেলপারের টাকা, তৈলের টাকা এসব তার মাথায় ঘুরতে থাকে।
রাস্তায় বের হলে জ্যাম থাকলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। যাত্রী নেওয়ার জন্য তখনি তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। আঁচড় থাকা গাড়ি রাস্তায় চলতে না দিলেই মালিকরা সচেতন হবে এবং তাদের ড্রাইভারদের উপর একটা চাপ দিবে। এই চাপের মুখে পড়ে চালকরা বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করবে বলে আমি মনে করি। আর এই বিষয় গুলো দূর করতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নিরাপদ সড়কের আইন তৈরিতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তারা লোক দেখানোর জন্য কাজ না করে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :