জান্নাতুল ফেরদৌসী: উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে রানা প্লাজা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে ১৬ মে। আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যাওয়ার কারণে এতোদিন মামলার কার্যক্রম এগোতে পারেনি। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
রানা প্লাজা ধসের পরদিন হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দুটি মামলা হয় সাভার থানায়। দুই বছর এক মাস পর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৫৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে দুই মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়। ২০১৬ সালের জুন ও জুলাইয়ে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ গঠন হলেও উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন ২১ জন অভিযুক্ত। হত্যা মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১২ই মে। এর চারদিন পর ১৬ই মে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আছে।
জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের পিপি খন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, চার্জ এর বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ হাই কোর্টে চলে যায়। যদি আইনের কোনো জটিলতা না থাকে তাহলে ১৬ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবো।
রানা প্লাজা ধসে প্রায়ে সাড়ে ১১শ মানুষ নিহত হন, আহত হন আড়াই হাজার। রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
তিনি বলেন, আশা করি আমাদের যে সাক্ষী ও তথ্য যা আছে তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারবো। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য যা যা করতে হয় করবো।
হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানা কারাগারে আটক আছে। ১২ জন পলাতক ছাড়াও দুইজন মারা গেছে, আর ৪৪ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে।
১৬ই মে হত্যা মামলার শুনানির আগে ইমারত নির্মাণ মামলায় রিভিউ শুনানি হবে ৭ই মে। মামলা দুটিতে সাক্ষী প্রায় ৭’শ জন। সূত্র: চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :