নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষিত শিশু কবরস্থানে গিয়ে জেগে উঠার খবর পাওয়ার পর শিশু হাসপাতালে ভর্তি শিশুটিই মীম কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢামেক পরিচালক ব্রি. জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে তাহলে এখন মীম নামের যে শিশুটি নিয়ে এতো আলোচনা চলছে, সেটি কার এটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, গর্ভে থাকার সময় শিশুটি আগেই মারা গিয়েছিল। আর ভূমিষ্ট হওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করে মৃত্যুর সনদও দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ২৭ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি নিয়ে শারমিন আমাদের এখানে ভর্তি হন। এদিন সকালে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। মৃত বাচ্চা হওয়ার বিষয়টি তার স্বজনদের জানানো হয় এবং মৃত বাচ্চাটিই হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক পরিচালক আরো বলেন, ‘এই বাচ্চাটা শারমিনের কিনা এটা আমার সন্দেহ। তাই প্রয়োজনে তার ডিএনএ টেস্ট করানো হবে।’
এছাড়া এই ঘটনায় ঢামেকের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ কান্তি লালকে প্রধান করে প্রাথমিকভাকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শারমিন একটি মৃত সন্তান জন্ম দেন বলে চিকিৎসকরা স্বজনদের জানান। পরে শিশুটিকে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে দাফনের আগে গোসল করানোর সময় শিশুটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকে।
এরপর তাকে দ্রুত আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতাল ও পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানে শিশু মীম চিকিৎসাধীন রয়েছে। সূত্র : পরিবর্তন