লিহান লিমা: অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের সাংসদদের ঘুষ গ্রহণের কথা অজানা নয়। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকা বলতেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মত কথা সামনে চলে আসে। এবার খোদ ইউরোপিয় দেশগুলোর সাংসদদের বিরুদ্ধেই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে কাজ করা ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ-’এর অন্যতম অঙ্গসংস্থা ‘পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অফ দ্য কাউন্সিল অফ ইউরোপ’-পেস এর সদস্যদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইউরোপের ৪৭টি দেশের সাংসদদের সমন্বয়ে গঠিত পেস-এর সদস্যসংখ্যা ৩২৪। বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি তদন্ত দলের অভিযোগ মতে, ওই সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক কয়েক সদস্য ঘুষ হিসেবে অর্থসহ ক্যাভিয়ার, কার্পেট এবং অভিজাত হোটেলে থাকার সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এই সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে অভিযুক্তরা আজারবাইজানে ত রাজনৈতিক বন্দিদের অবস্থা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হওয়া এক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সুর নরম করেছিলেন তারা। তদন্তকারীদের তৈরি করা ২০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অভিযুক্তরা নৈতিকতা বিরোধী কাজ করেছিলেন।’
প্রতিবেদন সম্পর্কে পেস-এর সভাপতি মিশেল নিকোলেত্তি সাংবাদিকদের জানান, পেস-এর একটি কমিটি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্ত সাংসদদের স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালও আজারবাইজানের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ইউরোপিয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করতে আহ্বান জানিয়েছিল। সংস্থাটির প্রধান জোসে উগাজ বলেন, পেসের মত সংস্থার রাজনীতিবিদদের নৈতিক অবস্খলনের বিষয়টি দুঃখজনক। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব থেকেছেন। ডয়েচে ভেলে।
আপনার মতামত লিখুন :