শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: এবার প্রথমবারের মতো খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা হবে। আর তাই দলীয় প্রতীককে বড় ফ্যাক্টর মনে করছেন খুলনার রাজনীতিবিদ ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে দোদুল্যমনতায় সাধারণ ভোটাররা। তারা কেউ কেউ প্রতীককে অগ্রাধিকার দিলেও অনেকে বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যোগ্য বুঝে পক্ষ নেবেন তারা। অপরদিকে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় প্রতীক ব্যবহার ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে
নির্বাচন কমিশনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল দুপুরের পর থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করা যাবে।
কেসিসি এর আগে যে চারবার নির্বাচন হয়েছে সেখানে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্দীতা করেছেন। তবে এবারই প্রথম নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতীক থাকছে প্রার্থীর নামের পাশে। তাই রাজনৈতিক দল গুলোকে ভোটের হিসেব নিকেশ কসতে হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
খুলনা মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠু বলেন, দলীয় প্রতীক ভোটারদের মাঝেও প্রভাব ফেলছে। অনেকের কাছেই তাই প্রতীক ও প্রার্থী প্রধান্য পাচ্ছে। তবে অধিকাংশ ভোটারই প্রতীককে মুখ্য না ভেবে যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার কথা বলছেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজমল আহমেদ তপন বলেন, প্রতীক ও দলের প্রার্থী থাকায় এবারের নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতা মূলক। কারণ বিগত চার বারের নির্বাচনে বিএনপিও আওয়ামীলীগ উভয় দলের প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক শাহাদত হোসেন বাচ্চু বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। ভোটাররা দলীয় প্রতীকে প্রাভাবিত হয়। তবে সচেতন ভোটাররা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নেতৃত্বের গুনাবলি বিবেচনায় নিয়ে থাকেন। ফলে প্রতীক পেলেই যে কেউ নির্বাচিত হবে তা বলা কঠিন।
এদিকে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন, তার ওপর রয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার নতুন ভোটার । তাই জনসমর্থন নিজেদের পক্ষে আনতে বড় দলগুলোকে নগর উন্নয়নের কথা মাথায় নিয়েই মাঠে নামতে হবে। তানা হলে পালটে যেতে পারে দলগুলোর ভোটোর সব হিসেব নিকেশ।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৪৪ হাজার ১০৭ জন নারী।
৫ মেয়র প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলের মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টি মনোনীত শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি মনোনীত দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু।
আপনার মতামত লিখুন :