বিশ্বায়নের যুগে এই জাতির শক্তিশালী লিডারশিপের প্রয়োজন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিধায়, এ বিশ্বায়নের যুগে এতো শক্তিশালী নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এবং একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছেন। পৃথিবী জোড়া কয়েকজন বলিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কের একজন রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১০০ জনের মধ্যে থাকলেও আমার মনে হয়, তিনি ৫/৭ জনের মধ্যে একজন। তার এ অর্জনের কারণ, আওয়ামীলীগের মত একটি শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ এবং সাথে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষক লীগ এবং স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি তার পেছনে আছে।
এগুলো তার নিজস্ব শক্তি। এই শক্তির কারণে তিনি নিজে সাহস নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ দেশটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশের বিপ্লবী মানুষদেরকে আজকের দিনে তিনি কাজে লাগাচ্ছেন। কৃষি, শিক্ষা, স্বা¯্য’, এগুলোতে তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আজকে শিশু মৃত্য হার কমেছে। সকল ক্ষেত্রেই অনুন্নত দেশকে উন্নতশীল দেশে নেওয়ার জন্য নেত্রী যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তা বলে বুঝাতে হবে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে, এখন তত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। কারণ, পর পর আমরা তিন বার তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। তিনটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এই কারণে আজকের সময়ে এ দাবি অযৌক্তিক। আমি মনে করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনটি এ দুটি দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আর্মি, বিডিআর, পুলিশ কারোরই প্রয়োজন হবে না।
নিজ নিজ দলের কর্মীরা কেন্দ্রে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো নেত্রীকে ছোট এবং হেয় করার জন্য করে না। অনেক সময় অনেক এলাকার নেতৃত্বে থাকা লোকদের বুদ্ধির অভাব থাকে। আর অযোগ্য লোকগুলো বিভিন্ন অকারেঞ্জ ঘটায়, এটি নেত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করে। এগুলো আসলে নেত্রী বা আওয়ামী লীগের কিছু নয়। যে করবে তার উপরেই যাবে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য দল থেকে তাদের বহিস্কার করা হচ্ছে এবং প্রশাসনিকভাবেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার একমাত্র সরকার, যে সরকারের রানিং এমপি এবং মন্ত্রীদেরকে দুদক চিঠি দিচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। এটি এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত। দুর্নীতি যাতে না হয় এজন্য সরকার এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্য ও কর্মীবান্ধব প্রার্থীদেরকে নেত্রী মনোনয়ন দিবেন, এটা আমাদের বিশ্বাস।
পরিচিতি : প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :