নূর মাজিদ: পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা এখন প্রবলভাবে ‘চীনা ভীতি'র শিকার। সর্ষে’তে ভূত দেখার মতই তারা এখন সমস্ত কিছুতেই চীনা শক্তির পুনরুত্থানের আশঙ্কায় ভুগছে। এই আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ করতেই যেন প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের নতুন নৌ ঘাঁটি স্থাপনের গুজব আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলি এবং তাদের মিত্রদের আশঙ্কা চীনের কাছে তারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলবে।
মূলত এপ্রিল মাসের শুরুতেই পশ্চিমা দেশগুলির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদ আসতে থাকে যে চীন এই অঞ্চলে তাদের নতুন নৌ ঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে মাত্র ২০০০ কিলোমিটার দূরে দ্বীপ রাষ্ট্র ভানুতুতে চীন নৌঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে এমন খবরে নড়েচড়ে বসে ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরা। অবশ্য পরে চীন ও ভানুতুর সরকার এই ধরনের পরিকল্পনার কথা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসত্য বলেই দাবী করেছেন।
পশ্চিমাদের দাবী এই ঘাঁটি স্থাপন করা হলে তা এই অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য সম্পূর্ণ বদলে দেবে। অবশ্য পশ্চিমাদের এই আতঙ্কের পেছনে কিছু যৌক্তিক কারণও রয়েছে। ভানুতুর ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের রাষ্ট্রীয় ঋণ চীন পরিশোধ করেছে। এমনকি দেশটির সামরিক বাহিনির জন্য যানবাহনও দিয়েছে চীন। একই সময় ভানুতুই একমাত্র দেশ যারা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্তিম দ্বীপ তৈরির পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া এই অঞ্চলে চীনের সামরিক উত্থান রুখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে এবং দেশটি দক্ষিন চীন সাগরে তার নৌ উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। আরটি
আপনার মতামত লিখুন :